Whatsapp: কিভাবে হ্যাকারদের থেকে সুরক্ষিত রাখবেন আপনার হোয়াটসঅ্যাপের ব্যক্তিগত তথ্য!
বর্তমানে সারাবিশ্বে কয়েক কোটি মানুষের সারাদিনের সঙ্গী হয়েছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যক্তিগত চ্যাট থেকে শুরু করে বন্ধু বা পরিবারের গ্রুপ, এমনকি অফিসের তথ্য আদান প্রদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজও করা হচ্ছে প্ল্যাটফর্মটিতে। এছাড়াও ছোট বড় সব ধরনের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানও বর্তমানে নানান কাজে ব্যবহার করছেন হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু আপনার এই বিপুল পরিমাণ তথ্য কি আদৌ সুরক্ষিত? সম্প্রতি তথ্য হ্যাকিংয়ের একটি খবর সামনে এসেছে, যেখানে বলা হয়েছে ৫০ কোটি মানুষের হোয়াটসঅ্যাপ তথ্য হ্যাক করা হয়েছে। তাহলে এখন আপনার এই হোয়াটসঅ্যাপ তথ্যকে সুরক্ষিত রাখবেন কিভাবে? দেখে নিন ৩ টি উপায়-
(১) টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন ফিচার অন রাখুন: আপনার নতুন মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপ লগ-ইনের সময় এটিকে সুরক্ষিত করতে পারবেন আপনি। এই জন্য আপনাকে অন রাখতে হবে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন। এতে অন্য কোনো জায়গায় আপনার হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্টটি লগ-ইন করা যাবেনা সহজে। তবে এই পিন কখনো কারো সাথে শেয়ার করবেন না। প্রয়োজনে আপনার ইমেল যুক্ত করে রাখুন। পিন ভুলে গেলে ইমেল থেকে নতুন পিন সেট করতে পারবেন। তবে কোনো ভুয়ো ইমেল এলে সেদিকে সতর্ক থাকুন। এটিকে সুরক্ষার একটি অতিরিক্ত স্তর বলতে পারেন। আর এই সুরক্ষার অতিরিক্ত স্তর যুক্ত হওয়ার কারণে হ্যাকারদের হাত থেকে একাউন্ট সুরক্ষিত রাখা সহজ হবে।
(২) নিয়মিত কম্পিউটার থেকে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট লগ আউট করুন
অফিসে বা অন্য কোনো কর্মক্ষেত্রে অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব ব্যবহার করেন। বর্তমানে এটি সকলেরই প্রয়োজন পড়ে অল্পবিস্তর। তবে অফিস বা বাইরের কোনো কম্পিউটারে ভুলেও লগ-ইন করে রাখবেন না আপনার হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট। নিয়মিত কম্পিউটার থেকে হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট লগ আউট করে বের হন। লগ-ইন করে রাখলে পরে তা অন্য কোন ব্যক্তি দেখে নিতে পারেন।
(৩) যে কোনো লিঙ্ক ওপেন করা থেকে বিরত থাকুন
বর্তমানে প্রায় সব ধরণের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম-এ আমরা সকলেই যুক্ত। আর এইসব প্ল্যাটফর্ম থেকেই আপনার কাছে নিয়মিত অজানা লিঙ্ক আসতে থাকে। এই ধরনের অজানা লিঙ্কে কখনই ক্লিক করবেন না। বেশিরভাগ সময় আপনার ডিভাইসে ম্যালওয়্যার ঢোকাতে এই ধরনের লিঙ্কগুলো পাঠায় হ্যাকাররা। যা আপনার ফোনের ক্ষতি করে দিতে পারে। এতে হস্তান্তর হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের উপর লিখিত। যেকোনো সমস্যায় আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।