Bengali SerialHoop Plus

Aindrila Sharma: ঐন্দ্রিলার মায়ের তোলা অভিযোগের জবাব দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন প্রায় ৩ সপ্তাহ হল। কিন্তু মানুষের মন থেকে তিনি চলে যাননি। তাঁর অভিনয়, ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই মনে গেঁথে রেখেছে সকলেই। মুহুর্মুহু কান্না আসলেও অভিনেত্রীর পরিবারের লোকও নিজেদের শক্ত রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু এসবের মাঝে হাসপাতালের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা। একটি স্মরণসভায় গিয়ে তিনি বলেন, ‘ডাক্তারের গাফিলতিতেই বাঁচল না ঐন্দ্রিলা।’ তবে এবার এই অভিযোগের জবাব দিল হাসপাতালও।

ঐন্দ্রিলার এক স্মরণসভায় উপস্থিত হয়ে তার মা শিখা শর্মা হাসপাতালের দিকে আঙুল তুলে বলেন, “আমার মেয়েকে বাঁচানো যেত। শুধুমাত্র একজন চিকিৎসকের জন্য সেটা সম্ভব হল না। উনি দায়িত্ব নিয়ে আমার মেয়েকে ডিপ কোমায় পাঠিয়ে দিলেন।” শিখা দেবী আরো অভিযোগ করেন, “ওই হাসপাতালের বাকি স্টাফরা ভালো। নার্সিং স্টাফ সত্যিই খুব ভালো। সকলে ঐন্দ্রিলার যত্ন নিয়েছিল। ধীরে ধীরে ওর জ্ঞান ফেরে। কিন্তু, ওই একজন সব তছনছ করে দিলেন।” এখানে তিনি ওই চিকিৎসকের ‘ইগো’র দিকেও আঙুল তোলেন।

তবে এবার এই অভিযোগের ভিত্তিতে মুখ খুলল হাওড়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ। তারা সাফ জানিয়ে দিল, এরকম কোনও অভিযোগ আসেনি ঐন্দ্রিলার পরিবারের তরফে। এক আধিকারিক বলেন, “আমাদের কাছে ঐন্দ্রিলার পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। আমরা এই বিষয়টি শোনার পর তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর আমাদের যা যা করণীয় তা করা হবে। তবে বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক যে তাঁদের এই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাঁরা আমাদের বিষয়টি আগে জানাতে পারতেন। কিন্তু, তাঁরা যে বলেছেন বাইরের থেকে উপদেশ নেওয়া হয়েছে এগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের মনে হয় কোথাও একটা ‘মিস কমিউনিকেশন’ হচ্ছে। আমরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।”

তবে মৃত্যুর কারণ যাই হোক না কেন, ঐন্দ্রিলা আর ফিরে আসবেন না, এটাই হয়তো মানতে পারছেন না তার গর্ভধারিনী মা সহ তার গোটা পরিবার।

whatsapp logo

Debaprasad Mukherjee

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা