Panchami: আচমকা বিষপান পঞ্চমীর, ঘটল প্রাণ সংশয়! ধারাবাহিকের গল্পে বুক ধড়ফড় করে উঠল সকলের
পা রাখতেই বাজিমাত করেছে স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘পঞ্চমী’। প্রথম দশ বা প্রথম পাঁচ নয়, প্রথম সপ্তাহেই এক্কেবারে টিআরপি তালিকার দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে এই ধারাবাহিক। গত মাসের স্টিল-চ্যাম্পিয়ন ‘জগদ্ধাত্রী’র ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে পরাবাস্তবিক গল্প দিয়ে নির্মিত এই ধারাবাহিক। আর শুরুতেই এই ধামাকার পর আবারো নতুন চমক নিয়ে হাজির হল এই ধারাবাহিক। দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রোমো দেখে ঘুম উড়ল দর্শকদের।
বছরের শেষ মাসে বাংলা মেগার পর্দায় শুরু হয়েছে একগুচ্ছ ধারাবাহিক। একদিকে যেমন বন্ধ হয়েছে প্রিয় ধারাবাহিকগুলি। অন্যদিকে তেমনই নতুন ধারাবাহিকগুলির মধ্যেও শুরু হয়েছে জোর রেষারেষি। সদ্য শুরু হয়েছে রাজদীপ গুপ্ত ও সুস্মিতা দে’র ধারাবাহিক ‘পঞ্চমী’। নাগিন জগতের গল্প নিয়ে তৈরি এই মেগা। আর এবার নতুন রিলিজ হওয়া একটি প্রোমোতে দেখা গেল চমক। বৃহস্পতিবারই নতুন প্রোমো ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। আর সেখানে দেখা যাচ্ছে পঞ্চমী যে বাড়িতে কাজ করে সেই বাড়ির কর্তাকে বিষধর একটি সাপ ছোবল দিচ্ছে ঘুমের মধ্যেই। মুহূর্তে তার প্রাণ নিয়ে পড়ে যায় টানাটানি। বিষের প্রভাবে নিস্তেজ হয়ে পড়তে শুরু করে তার শরীর। তবে এর মাঝেই নিজের পরাবাস্তবিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে পঞ্চমী। দংশনের স্থানে মুখ দিয়ে সব বিষ তুলে নেয় এবং প্রাণরক্ষা করে। কিন্তু সেই বিষ সে গলার্ধকরণ করে পঞ্চমী। তারপর কি সে বাঁচবে? এই প্রশ্ন রেখেই শেষ করা হয়েছে প্রোমো ভিডিওটি।
নতুন এই গল্প যে মনে ধরবে দর্শকদের, তা বোঝা গেছে টিআরপি তালিকা দেখেই। আর এই নতুন প্রোমো যেন সেই জনপ্রিয়তাকে আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি করেছে। ভিডিওর কমেন্ট বক্সে অনেক দর্শক দাবি করেছেন যে আগামী সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন হবে ‘পঞ্চমী’। কেউ কেউ আবার গল্প নিয়ে প্রচন্ড আগ্রহ দেখিয়েছেন। কেউ আবার লিখেছেন, ‘পরবর্তী এপিসোডের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি’। এককথায় নতুন এক গল্প বেশ মনে ধরেছে দর্শককূলের।
প্রসঙ্গত, এর আগেও বড় পর্দা কিংবা বাংলা টেলিভিশনে সাপ নিয়ে গল্প বারবার এসেছে। ‘নাগিন’, ‘নাগিনা’, ‘নাগপঞ্চমী’, ‘মনসা’, ‘বেহুলা’- এর মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এর আগে। আর এ বার ফের বাংলা টেলিভিশনে সাপকে কেন্দ্রে করে এসেছে ‘পঞ্চমী’। নির্মাতাদের দাবি, এই ধারাবাহিক বিজ্ঞানকে অবজ্ঞা করে না। বিজ্ঞানকে সম্মান দিয়েই একটা রূপকথার গল্প তৈরি হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন লেখিকা সাহানা দত্ত।