Health Tips: এই সমস্যাগুলি শরীরে থাকলে চিনাবাদাম খাওয়া বিষের সমান
শীতের সন্ধ্যায় সিনেমা দেখতে দেখতে হোক বা গল্পে মশগুল হয়ে, হাত দিয়ে বাদামের খোলা ছাড়িয়ে খেতে কেই না ভালোবাসে! চিনাবাদাম অনেকেরই প্রিয় স্ন্যাক্স-এর মধ্যে একটি। শুকনো ভেজে খোসা ছাড়িয়ে ফেললেই কেল্লাফতে। মুখের মধ্যে মিষ্টি ভাব ও মনের মধ্যে আনন্দের সঞ্চার ঘটাতে সক্ষম এই খাবার।
কিন্তু জানান কি, এই চিনাবাদাম থেকেই আপনার শরীরে হতে পারে ব্যাপক ক্ষতি। অনেকের ক্ষেত্রে এই খাবার হতে পারে বিষের সমান। আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। চিনাবাদাম খেলেই ভোগান্তি হতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে। এই প্রতিবেদনে আমরা সেই বিষয়ে আলোচনা করব যে চিনাবাদাম কাদের খাওয়া উচিত নয়।
(১) গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ভোগা মানুষদের: সাধারণত যারা গ্যাস, অম্বল, পেটের অসুখ ও হজমের সমস্যায় ভোগেন তাদের ফ্যাট ও চর্বিযুক্ত খাবার খেতে বারণ করেন ডাক্তাররা। আর এই চিনাবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট। তাই এইসব মানুষদের চিনাবাদাম খাওয়া বিষ খাওয়ার সমান হতে পারে।
(২) গেঁটেবাতের সমস্যায় ভোগা মানুষদের: এটি অনেকের ক্ষেত্রেই একটি কষ্টকর সমস্যা। এই রোগ পিউরিন মেটাবলিজম ডিসঅর্ডার দ্বারা সৃষ্ট হয়। তারা যদি উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খায়, তাহলে ইউরিক অ্যাসিডের নিঃসরণ কমে যায়। ফলে বাতের সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
(৩) হাইপারলিপ্ৰপ্রোটিনেমিয়া রোগীদের: এই রোগে যারা আক্রান্ত হন তাদের কাছে ফ্যাট ও চর্বিযুক্ত খাবার বিষের মতো হয়। পাশাপাশি তাদের ক্যালোরিযুক্ত খাবারও কম খেতে বলা হয়। তাই এই রোগীদের ক্ষেত্রে চিনাবাদাম খাওয়া বিশেষভাবে নিষিদ্ধ।
(৪) পিত্তের সমস্যায় ভোগা মানুষদের: অনেকেই পিত্তশয়ের অনেক সমস্যায় ভুগে থাকেন। যার ফলে হজমে সমস্যা দেখা দেয়। আর এইসব রোগীদের ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া একদমই নিষিদ্ধ বলেন ডাক্তাররা। তাই এই সমস্যা থাকলে চিনাবাদাম না খাওয়াই ভালো।
(৫) ডায়েটে থাকা মানুষরা: যারা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করেন, তাদের বেশি ক্যালোরি ও ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ। তাই তাদের ক্ষেত্রেও চিনাবাদাম না খাওয়াই ভালো।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্য ও অনুমানের উপর লিখিত। কোনোরূপ শারীরিক সমস্যায় আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।