ক্যান্সার কেড়ে নিয়েছে তাঁর কনিষ্ঠ কন্যা ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)-কে। জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তে আবারও এই মারণরোগ আঘাত হেনেছে ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা (Shikha Sharma)-র শরীরে। দীর্ঘ চৌদ্দ বছর পর তাঁর শরীরে ফিরেছে ক্যান্সার। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কেমোথেরাপি শুরু করা হয়েছিল। গত 13 ই জানুয়ারি শিখা দেবীর অস্ত্রোপচার হয়েছে। দীর্ঘ আট ঘন্টা ধরে চলেছে এই অস্ত্রোপচার। এই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন শিখা দেবী।
তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসক শিখা দেবীর অস্ত্রোপচার নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু তাঁর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। কিন্তু অপারেশনের পর শিখা দেবীর শরীরে যন্ত্রণা হচ্ছে যার পোশাকি নাম পোস্ট অপারেটিভ পেন। 26 শে জানুয়ারি তাঁর সেলাই কাটা হবে ও ক্যাথিটার রিমুভ করা হবে। বর্তমানে চিকিৎসক শিখাদেবীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। ফলে ছুটি নিতে হয়েছে কাজ থেকে। কিন্তু অস্ত্রোপচার সফল হলেও চলবে কেমোথেরাপি। তবে বায়োপসি রিপোর্ট না এলে রেডিয়েশনের সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। শারীরিক যন্ত্রণা হলেও অপারেশন সফল হয়েছে, এটাই অনেক বড় পাওনা বলে জানালেন শিখাদেবী। মানসিক ভাবে তিনি যথেষ্ট দূর্বল হয়ে পড়েছিলেন।
ফলে গত 30 শে ডিসেম্বর তাঁর অপারেশন হওয়ার কথা থাকলেও শিখা দেবীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা সঠিক ছিল না। লেগেছিল ঠান্ডাও। ফলে অ্যানাস্থেশিয়ায় সমস্যা হতে পারত। এই কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয় অপারেশনের তারিখ। ঐন্দ্রিলা জীবিত থাকাকালীন শিখা দেবীর শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। ফলে তিনিও চিন্তিত ছিলেন। ঐন্দ্রিলা নিজে দিল্লি গিয়ে চিকিৎসকের সাথে কথা বলে মায়ের অপারেশনের ব্যবস্থা করেছিলেন দিল্লির হাসপাতালে। কিন্তু গত বছর 20 শে নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে অকালপ্রয়াণ ঘটে তাঁর। ঐন্দ্রিলার মস্তিষ্কেও ক্যান্সারের কোষের সংক্রমণ হয়েছিল। গত সাত বছর ধরে ‘ইউয়িং সারকোমা’ নামক বিরল ধরনের ক্যান্সারের সাথে লড়ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর দিল্লি যেতে চাননি শিখা দেবী। ফলে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালেই তাঁর অপারেশন হয়।
বিয়ের আগেও শিখা দেবী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকে দেখেই লড়াই করার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। পরপর দুই বার ক্যান্সার জয় করে ফিরলেও তৃতীয়বার না ফেরার দেশে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা। তবে সব্যসাচী (Sabyasachi Chowdhury) আগের মতোই রয়েছেন শর্মা পরিবারের পাশে। শিখা দেবীর নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন তিনি।
View this post on Instagram