Tourism: স্বল্প খরচে কয়েকদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন ‘মিনি কেরালা’ থেকে, মন ভালো হতে বাধ্য
বাইরে একটু ঠান্ডা পড়তে কি মনে হচ্ছে? ব্যাগ গুছিয়ে একেবারে বেড়াতে চলে যেতে, তবে বাঙালি মানেই ভ্রমণ পিপাসু। কয়েকজন আছেন যারা বেড়াতে যেতে ভীষণ ভালোবাসেন কিন্তু ও সব সময় অফিসের চাপে বা সংসারের চাপে বেশিদিন কোথাও গিয়ে থাকা হয়ে ওঠে না। খরচ সামলাতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে যাওয়ার পরে বেড়াতে যাওয়ার জন্য আর সে রকম কিছু টাকায় বেঁচে থাকে না, তাদের জন্য দু-একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন মিমি কেরালা থেকে। কি ভাবছেন মিনি কেরালা আবার কোথায় কেরালা তো অনেক দূর?
আজকে আমাদের ডেস্টিনেশন মিনি কেরালা অর্থাৎ এই কেরালা কিন্তু ভারতের উত্তর দিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে খুব বেশি দূরে নয়, আজকে আমাদের ডেস্টিনেশন ইচ্ছেগাঁও কালিম্পং থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে এই ডেসটিনেশন যদিও এই জায়গাটি এখন আর অফ বিট নেই, মানুষ অলরেডি চলে গেছেন। আপনি আর দেরি করবেন কেন? পরিবারকে সাথে নিয়েও অথবা ছোট হানিমুন হিসেবে ঘুরে আসতেই পারেনি ইচ্ছেগাঁও থেকে।
এখানে গেলেই দেখতে পাবেন রং বেরঙের ফুল অর্কিড প্রজাপতি কত রংবেরঙের পাখি জানা-অজানা কত কিছু। কংক্রিটের জঙ্গলে থাকতে থাকতে যদি মন একেবারে বিষিয়ে যায় তাহলে এই অসাধারণ আইনের জঙ্গলে ঘেরা ছোট্ট গ্রাম, আপনার জন্য উপযুক্ত ডেসটিনেসান।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই হোমস্টে থেকে দেখতে পাবেন, সামনে অসাধারণ কাঞ্চনজঙ্ঘা। মেঘ কুয়াশার খেলা দেখতে দেখতে মন খারাপ একেবারে কেটে যাবে। সকালবেলা ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য ফোনে এলার্ম দেওয়া দরকার নেই, চারিপাশের জঙ্গলের মধ্যে থেকে কিচিরমিচির পাখির ডাকে আপনার এমনি ঘুম ভেঙে যাবে।
ব্ল্যাক থ্রোটেড টিট, গ্রিন ব্যাকড টিট, ফ্লাওয়ার পেকার, ফর্কটেল, ওরিয়েন্টাল টার্টল ডাভ,লাফিং থ্রাশ ইত্যাদি নানান প্রজাতির পাখি দেখতে পাওয়া যায়। ইচ্ছা করলে আশেপাশের গ্রাম সেলারিগাঁও ঘুরে আসতে পারেন হাঁটা পথে চারিদিকে বুনো পথের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে খারাপ লাগবে না পাহাড়ি গ্রামের আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় অবশ্যই ক্যামেরার সাথে নিতে ভুলবেন না।
এত সুন্দর জায়গায় কিভাবে যাবেন ভাবছেন ?
হাওড়া টু শিয়ালদা থেকে সহজেই ট্রেনে করে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে যেতে হবে, তারপর সেখান থেকে কালিংপং আসতে হবে। দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার সেখান থেকে ইচ্ছেগাঁও মাত্র ১৫ কিলোমিটার গাড়ি ভাড়া ১০০০- ৮০০ থেকে হাজার টাকার মত।
কাছাকাছি বেশ কয়েকটা হোমস্টে রয়েছে, এখানে ইচ্ছা করলেই থাকতে পারেন, যেমন খাওয়াস হোমস্টে, লামা শেরপা হোমস্টে। থেকে মার্চ এপ্রিলের মধ্যে একদিন ঘুরে আসতে পারেন অসাধারণ এই জায়গাটি থেকে।