Tithi Basu: অল্প বয়সেই চলে যান বাবা, মা সিরিয়ালের ঝিলিকের কাহিনী চোখে জল আনবে
‘তোমায় ছাড়া ঘুম আসে না মা’- এই গানের সুর ও কথা হয়তো আজও ভুলতে পারেনি অনেকেই। কারণ ২০০৪ থেকে ২০০৯- এই পাঁচ বছর বাংলা টেলি-জগতে সবথেকে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল অশ্রুসজল ধারাবাহিক ‘মা’। গল্পের প্লট থেকে গানের ট্র্যাক, সবই যেন মন জয় করেছিল দর্শকদের। সেই কারণেই এই টাইটেল ট্র্যাকের কথা মনে পড়লেই সেই ছোট্ট মেয়েটির কথা মনে পড়ে। মেয়েটি ছিল ‘ঝিলিক’, ওরফে তিথি বসু (Tithi Basu)।
তবে সেই ছোট্ট মেয়ে আর কিন্তু সেরকম নেই, সে এখন তন্বী। ধারাবাহিকে বিশেষ দেখা না গেলেও, সামাজিক মাধ্যমে বেশ সক্রিয় তিথি। আর সেখানেই তিনি নজর কাড়েন ভক্তদের। প্রাণোচ্ছল অবতারে প্রায়ই তিনি ধরা দেন ভক্তদের। কিন্তু বাইরে এতটা জীবন্ত হলেও বাস্তবিক জীবনে কি এতটাই হাসিখুশি এই অভিনেত্রী? উত্তরটা হবে, নাঃ। অভিনেত্রীর বাস্তবিক জীবন অনেকাংশেই আলাদা। অনেক লড়াই করেই নাকি তিনি বড় হয়েছেন, দায়িত্ব সামলেছেন পরিবারের। এবার নিজের বাস্তবিক জীবনের কঠিনতা ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের বাস্তব জীবন নিয়ে অকপট হতে দেখা যায় তাকে। অভিনেত্রী জানান যে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তাকে এবং তার মা’কে ছেড়ে চলে যান তার বাবা, আলাদা হয়ে যান তিনি। তারপরই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তার মা। সেখান থেকেই একদিকে সংসারের হাল ধরেন তরুণী তিথি, অন্যদিকে মা’কে সামলানোর দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি। শৈশবে নিজেকে মেলে ধরার বয়সে তাদেরকে গ্রাস করে দারিদ্রতার অন্ধকার। এর মাঝেই তিনি নুনভাত খেয়ে স্কুল গিয়েছেনজ ক্লাস করেছেন। দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মতো বড় পরীক্ষা। ৯০ শতাংশ নিয়ে সেই দুই পরীক্ষায় পাশ করেন পর্দার ঝিলিক। এরপর তার জীবনে আবারো ফিরে আসে বাবা, বর্তমানে তারা সকলে ভালো আছেন।
অভিনেত্রী জানান যে, বাস্তব জীবনে তাকে অনেক কথা সহ্য করতে হয়েছিল। পাশাপাশি অনেক গঞ্জনাও নাকি তাকে সহ্য করতে হয়েছিল সেই কঠিন সময়ে। তিথি জানান যে পাড়া প্রতিবেশী থেকে অনেক আত্মীয় নাকি বলেছিলেন যে তার কিছু হবেনা। আর তাদের সকলকে একযোগে নাকি তিনি জবাব দিয়েছেন তার সাফল্যকে আরো বেশি করে বিকশিত করে। অভিনেত্রী বলেন যে সেই থেকেই বড় হয়ে ওঠার খিদেটা বৃদ্ধি পায় তার।
View this post on Instagram