প্বিরতীকীনোদন জগতে ঘটে চলেছে একের পর এক নক্ষত্রপতন। ধীরে ধীরে যেন অন্তর্হিত হয়ে যাচ্ছে স্বর্ণযুগ। তবে চাকচিক্যে পূর্ণ জগতের কারণে অধিকাংশ মানুষ জানতেই পারলেন না, চলে গেলেন এক দক্ষ অভিনেতা। ছিয়াত্তর বছর বয়সে প্রয়াত হলেন অভিনেতা হরিশ মাগোন (Harish Magon)। ‘গোলমাল’, ‘শাহেনশাহ’-র মতো একাধিক হিট ফিল্মে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন হরিশ। পয়লা জুলাই মুম্বইয়ে তাঁর প্রয়াণ হয়। কিন্তু মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা। তবে অনেকেই মনে করছেন বার্ধক্যজনিত শারীরিক অসুস্থতার ফলে প্রয়াণ ঘটেছে হরিশের।
View this post on Instagram
অভিনেতার পরিবারের তরফেও তাঁর প্রয়াণ নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি। ‘সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে এদিন হরিশের প্রয়াণের খবর টুইট করে জানানো হয়, 1988 সাল থেকে তিনি এই সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। সংগঠনের সদস্যরা হরিশের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। 1946 সালের 6 ই ডিসেম্বর তৎকালীন বম্বের বুকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন হরিশ। অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন ছিল শৈশব থেকেই। 1974 সালে পুনের এফটিআইআই থেকে স্নাতক হন হরিশ। ধীরে ধীরে বলিউডে শুরু করেন তাঁর কেরিয়ার। তবে হরিশকে সাধারণতঃ পার্শ্ব চরিত্রেই অভিনয় করতে দেখা যেত। একটু লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে, তৎকালীন বলিউড কিন্তু একজন দক্ষ অভিনেতাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ছিল। ‘মুকদ্দর কা সিকন্দর’, ‘আঁধি’, ‘গোলমাল’-এর মতো একাধিক ফিল্মে অভিনয় করেছেন হরিশ। তাঁর শেষ ফিল্ম ছিল ‘উফ! ইয়ে মহব্বত’। ফিল্মটি রিলিজ হয়েছিল 1997 সালে।
View this post on Instagram
কিন্তু এই ফিল্মের পর থেকেই ধীরে ধীরে অভিনয় জগৎ থেকে দূরে সরে যান হরিশ। তবে জুহুতে তিনি একটি অ্যাক্টিং ইনস্টিটিউট খুলেছিলেন। এছাড়াও রোশন তানেজা (Roshan Taneja)-র অ্যাক্টিং ইনস্টিটিউটে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ দিতেন হরিশ। লাইমলাইট থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করতেন। ফলে ব্যক্তিগত জীবনকেও আড়ালে রাখতেন হরিশ।
তাঁর স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছেন। তবে হরিশের পরিবার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সাথে যুক্ত নন। হরিশের পুত্র সিদ্ধার্থ মাগোন (Sidhdharth Magon) মুম্বইয়ে কর্মরত। কন্যা আরুশি (Arushi) কর্মসূত্রে সিঙ্গাপুরে থাকেন। হরিশের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন তাঁর অনুরাগীদের একাংশ।
View this post on Instagram