খসবে না কোনো টাকা, ঘরোয়া উপায়ে কয়েল ছাড়াই মশা তাড়ান সহজ টোটকায়
ডেঙ্গু কিন্তু আবারও বাড়ছে। এখনও খবরের চ্যানেল খুললে ডেঙ্গু থেকে মৃত্যুর খবর ভেসে আসছে একটা দুটো করে। কিছু মাস আগে পর্যন্ত ডেঙ্গু বাড়াবাড়ি আকার নেয়, এখন সেই মৃত্যুর সংখ্যা কন্ট্রোলে এলেও ডেঙ্গুর আক্রমণে শিশুসহ বয়স্করা মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছেন। চলুন দেখে নিই, কিভাবে মশার দাপট থেকে ঘরের মানুষদের রক্ষা করা যায়।
মশার দাপট থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য প্রথম ও প্রধান কাজ হল ঘর বাড়ি পরিষ্কার রাখা। বিকেলের পর দরজা জানালা বন্ধ করে দেওয়া এবং ঘরে কোনো জমা জল নয়। বালতি, গামলা করে জল জমিয়ে রাখা চলবে না। জল স্টোর করলেও ব্যাবহার করুন নয়তো জামা কাপড় ধুয়ে ব্যাবহার করে নিন। এছাড়া, মশা তাড়ানোর জন্য কয়েল বা মশা মারার বিষাক্ত ধূপ নয়, এতে অনেকের শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্ট হয়, এবং বাচ্চাদের জন্য ওই সব ধূপ যথেষ্ট ক্ষতিকারক। আজকের প্রতিবেদন থেকে আপনি জানতে পারবেন মশা তাড়ানোর কিছু ঘরোয়া উপায়।
কর্পূর : হিন্দু ধর্মে পুজোর সময় কর্পূর ব্যবহৃত হয়। বিশেষত আগেকার দিনে বাড়ির মহিলারা এবং কিছু পুরুষ মানুষ সন্ধ্যার দিকে ঘরে ধূপ ধুনো দিতেন, কর্পূর ধরিয়ে আরতি করতেন। এখন সেসব অভ্যাস নেই। মানুষ এখন রুম ফ্রেশনার হিসেবে বাজারজাত প্রোডাক্ট ব্যাবহার করেন। কর্পূরের গন্ধ মশা একেবারেই সহ্য করা যায় না। এক্ষেত্রে আপনি কর্পূরের ট্যাবলেট কিনে আনতে পারেন, এবং, একটি কর্পূরের টুকরা একটি ছোটো পাত্রতে রেখে সেটি জল দিয়ে পূর্ণ করুন। এতে করে মশার উপদ্রব কমবে।
লেবু লবঙ্গ: একটা পাতি লেবু অর্ধেক করে নিয়ে তাতে গোটা গোটা লবঙ্গ গেঁথে দিন। খেয়াল রাখুন, লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা গেঁথে শুধুমাত্র মাথার ফুলের দিকের অংশ বাইরে রাখতে হবে। ব্যাস, এভাবে জানলার পাশে রেখে দিন বা খাটের তলায় বা ঘরের কোণে, দেখবেন মশা ঘরেই ঢুকবে না।