কেন মাছ-মাংসের প্রতি অনীহা ফুলকির!
বর্তমানে নতুন শুরু হওয়া ধারাবাহিকগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হল জি বাংলার ধারাবাহিক ‘ফুলকি’। নায়িকাকেন্দ্রিক এই ধারাবাহিক বর্তমানে টিআরপি তালিকায় প্রথম পাঁচটি ধারাবাহিকের মধ্যে রয়েছে। ‘ফুলকি’-র নামভূমিকায় অভিনয় করছেন দিব্যাণী মন্ডল (Divyani Mondal)। ধারাবাহিকের বর্তমান কাহিনী অনুযায়ী তুলে ধরা হয়েছে বাঙালির অতি প্রিয় বর্ষাকালকে। কারণ বর্ষা মানেই ইলিশ মাছের মরসুম। ফলে কলকাতার বুকে স্থানে স্থানে আয়োজিত হয় ইলিশ উৎসব। ইলিশের বিভিন্ন ধরনের পদ সেখানে মেলে। পাওয়া যায় ইলিশের কাঁটাবিহীন লোভনীয় পদও। এই ট্রেন্ডকে মাথায় রেখে ‘ফুলকি’-তেও আয়োজন করা হয়েছে ইলিশ উৎসবের।
চিত্রনাট্য অনুযায়ী, রায়চৌধুরী পরিবারের উদ্যোগে শুরু হয়েছে ইলিশ উৎসব। ঈশিতার আমন্ত্রণে এসেছেন শহরের মন্ত্রী। ঈশিতা যথেষ্ট কূটবুদ্ধি সম্পন্না। সে ফুলকির বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তবে পাশাপাশি নিজের কেরিয়ারকেও গুছিয়ে নিতে চায় ঈশিতা। ফলে মন্ত্রীর সুনজরে পড়তে চায় সে। ইলিশ উৎসবের জেরে ‘ফুলকি’-র ফ্লোর সেজেছে গ্রামবাংলার আদলে। মাটির বাড়ির উপর খড়ের চাল নজর কাড়ছে। লাল শালু দিয়ে সাজানো ফ্লোরে আগের দিন রাত আড়াইটে অবধি শুটিংয়ের পর আবারও সকাল থেকেই শুরু হয়েছে শুটিং। ফুলকি সেজেছে গ্রাম্য বধূর সাজে। আটপৌরে ছাপা শাড়ি ও কাঁচের চুড়ি পরে ছদ্মবেশ ধারণ করেছে সে।
ইলিশ উৎসব নিয়ে ফুলকির অনস্ক্রিন আগ্রহ থাকলেও অফস্ক্রিন দিব্যাণীর আগ্রহী নন। প্রকৃতপক্ষে দিব্যাণী কৃষ্ণভক্ত। ফলে প্রায়ই ইস্কনে যান তিনি। এই কারণে মাছ, মাংস, ডিম বা কোনো রকম আমিষ খাবার খান না দিব্যাণী।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র দিব্যাণীর নায়িকা হিসাবে ‘ফুলকি’ প্রথম ধারাবাহিক। তবে এর আগে কয়েকটি মিউজিক ভিডিওয় কাজ করেছেন তিনি।