Hilsa Price: আচমকা পরিবর্তন ইলিশের দামে, বাজারে গিয়েই শোরগোল ক্রেতামহলে
কথায় বলে, মাছেভাতে বাঙালি। দেশে বিদেশে বাঙালির পরিচয় এক একটি খাবার দিয়েই দেওয়া হয়। তাই গ্রীষ্ম হোক বা শীত বা বর্ষা, বাঙালির ভাতের থালায় মাছের যোগান থাকতেই হবে। তবে বছরের অন্য সময় রুই, কাতলা কিংবা চিংড়ি থাকলেও বর্ষায় বাঙালির মন পড়ে থাকে ইলিশের দিকে। কারণ ইলিশের বিকল্প যে কিছুতেই হয়না, তা মোটামুটি সবার জানা। যায় বর্ষার বৃষ্টি নামলেই বাজারে ইলিশের খোঁজ শুরু হয়ে যায়। দাম যতই হোক না কেন, ইলিশ কেনার সময় বাঙালি বাজেটের কথা ভাবেনা।
কিন্ত এখন সেই ইলিশ কিনতে গিয়েই দামে ছ্যাঁকা খাচ্ছে বাঙালি। কারণ গত এক সপ্তাহে ইলিশের দাম বেড়েছে চড়চড়িয়ে। গত সপ্তাহে টন টন ইলিশ ঢুকেছিল রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে। একদিকে যেমন বকখালি থেকেও মিলেছিল ইলিশের যোগান, অন্যদিকে, দীঘা মোহনা থেকেও সামুদ্রিক ইলিশের যোগান বেড়েছিল। আর সেই কারণেই মধ্যবিত্তদের নাগালের মধ্যেই এসেছিল এই রুপোলি ফসলের দাম। কিন্তু সপ্তাহ গড়াতেই বাজারের ছবিটা বদলে গেল অনেকাংশে।
বুধবার সকালে বাজার খুলতেই এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম শুনে ভিরমি খেতে হচ্ছে সকলকেই। আজ এক কেজি সাইজের ইলিশের দাম ছাড়িয়েছে ২ হাজার টাকার গন্ডি। কিন্তু এক সপ্তাহ আগেই এই সাইজের ইলিশের দাম ছিল ১,০০০-১,২০০ টাকার মধ্যে। পাশাপাশি গত সপ্তাহে, দেড় কেজি বেশি ওজনের ইলিশের দাম ছিল ১,৫০০-২,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আজ সেই দাম বেড়ে হয়েছে ২,৫০০ টাকা প্রতি কেজিতে। এছাড়াও সপ্তাহখানেক আগে ৫০০-৭০০ গ্রাম ইলিশের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৬০০-৮০০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে পাইকারি বাজারে ৫০০-৭০০ গ্রাম ইলিশ প্রতি কেজিতে বিকোচ্ছে ১,০০০-১,৮০০ টাকায়।
কিন্তু আচমকা কেন এই মূল্যবৃদ্ধি? এই প্রশ্ন এখন বাজার ফেরত ক্রেতাদের মুখে। এই বিষয়ে মাছ ব্যবসায়ীদের যুক্তি অনুযায়ী, এই সপ্তাহে ইলিশের জপগান তুলনামূলক কমেছে বাজারে। যদিও ইলিশের চাহিদা কিন্তু কমেনি মোটেও। আর সেই কারণেই বাজারে ইলিশের দামে এতটা পরিবর্তন। তবে এর মাঝে আশার কথা একটাই, আগামী সপ্তাহে নিম্নচাপের প্রভাবে রাজ্যের বাজারে ফের বাড়তে পারে ইলিশের যোগান। তাই দাম কোমর সম্ভাবনা থাকছে আগামী সপ্তাহে।