খসবে না কোনো টাকা, পার্লারে না গিয়ে পাঁচ ঘরোয়া উপায়ে চুল কালো করে ফেলুন
আপনি কি সহজে চুল কালো করতে চান? অল্প বয়সে চুল পেকে গেছে? কিন্তু এক্ষুনি বাজার চলতে কোনো কালার লাগাতে চাইছেন না? ঠিকই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ বাজার যদি লাগান তাহলে কিন্তু চুল আরও বেশি পরিমাণে কালো হয়ে যাবে, হয়তো খুব কম সময়ের জন্য চুল কালো হবে কিন্তু আখেরে লাভ হবে। বাজার থেকে কেমিক্যালযুক্ত যে হেয়ার কালার কিনে আনেন তা হয়তো সামান্য দিনের জন্য চুল কালো করবে, তা কিন্তু সহজেই পেকে যাবে, তাই বাজার চলতি কোনো রকম কেমিক্যাল ব্যবহার করবে না।
বাড়িতে থাকা কয়েকটি উপাদানের মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করলেই আপনার চুল কালো কুচকুচে হয়ে যাবে, তবে যেহেতু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করবেন বাড়িতে থাকা তাই একটু সময় তো আপনাকে দিতেই হবে। তাই আর দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় দেখে ফেলুন কিভাবে আপনি আপনার চুলকে কালো, কুচকুচে বানাবেন।
১) কেশুতি পাতা- কেশুতি পাতা চুলের জন্য ভীষণ উপকারী একটি উপাদান। চুল পড়া বন্ধ করতে চুল কালো করতে সাহায্য করে এই পাতা। নারকেল তেলের মধ্যে কিছুতে পাতা ফুটিয়ে সেই দিন যদি প্রতিদিন ব্যবহার করা যায় চলে তাহলে চলে এর লাল রং বদলে কালো হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
২) আমলকি- শীতকালে প্রচুর পরিমাণে আমলকি পাওয়া যায়। প্রতিদিন একটা করে আমলকি খান এবং নারকেল তেলের মধ্যে টুকরো টুকরো করে আমলকি কেটে ফুটিয়ে রেখে সেই তেল ব্যবহার করতে পারলে চুল অনেক বেশি ভালো হবে।
৩) মেথি- চুল কালো করতে এবং ভালো করতে মেথির জুড়ি মেলা ভার। মেথি বেটে নিয়ে এসেই প্যাক মাথায় লাগাতে পারেন অথবা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে সেই মেথির তেল চুলে লাগান।
৪) কারি পাতা- কারিপাতা অনেকেই রান্নায় ফোড়ন হিসেবে খেয়ে থাকেন কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না চুল কালো করতে সাহায্য করে কারি পাতা। নারকেল তেলের মধ্যে কারি পাতা দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন তৈরি করুন সুন্দর তেল।
৫) লাল জবা- লাল জবা সংগ্রহ করে নারকেল তেলের মধ্যে ফুটিয়ে অথবা জবা ফুলগুলি বেটে নিয়ে চুলের মধ্যে লাগিয়ে নিতে পারলেই একেবারে কেল্লাফতে।
উপরে বলা যেকোনো একটি উপাদান আপনি পরপর সাত দিন লাগাতে পারেন। এভাবে দেখবেন শুধুমাত্র চুল কালো হবে না, চুল পড়া বন্ধ হবে, নতুন চুল গজাবে শীতকালে চোখে চুলের যে সমস্যা হয়, সেই সমস্যা থেকে আপনি অনেকটা রেহাই পাবেন।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।