বাঙাল কিংবা ঘটি হোক খাদ্য রসিক বাঙালি চিংড়ি মাছ খাবেন না এমনটা কিন্তু হতেই পারে না, অনেকে কিন্তু চিংড়িকে জলের পোকা বলে অসম্মান করেন তাতে কি আছে? যারা খেতে ভালোবাসেন তাদের কাছে চিংড়ি কিন্তু ভীষণ প্রিয় একটি মাছ। চিংড়ি মাছের যেকোনো প্রিপারেশন একবার যদি আপনি খান, তাহলে আপনাকে বলতেই হবে আহা কি খেলাম।
বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বাগদা, গলদা চিংড়ি হোক কিংবা একটু স্নাক্স এর মতন করে কুচো চিংড়ির বড়া অথবা চিংড়ি মাছের বাটি চচ্চড়ি কিংবা চিংড়ি মাছ সরষে দিয়ে ভাপা যে কোন প্রিপারেশনেই কিন্তু চিংড়ি একেবারে জয় জয় কার। তাহলে কিন্তু চিংড়ি মাছের যে কোন রেসিপি একেবারে খারাপ হয়ে যাবে।
১) রান্না করার সময় টাটকা চিংড়ি মাছ কিনে তারপরে রান্না করাই ভালো। কারণ বাসি চিংড়ি মাছের স্বাদ একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। আর যদি রাখতেই চান তাহলে খোসা শুদ্ধ ফ্রিজের মধ্যে রাখুন।
২) যে চিংড়ি মাছ থেকে অ্যামোনিয়ার মত গন্ধ বেরোয় সেই চিংড়ি মাছ না কেনাই ভালো, কারণ এই চিংড়ি মাছগুলি অনেক পুরনো হয়।
৩) আমরা অনেক সময় অনেকেই আছি যারা চিংড়ির খোসাকে ফেলে দেন। যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তারা অবশ্যই ফেলে দেবেন, কিন্তু যাদের সেই সব সমস্যা নেই তারা চিংড়ির খোসাকে ভালো করে ধুয়ে রেখে দিন, এটা দিয়ে বেটে ভালো করে কাঁচা লঙ্কা পেঁয়াজ এবং কালোজিরা রসুন দিয়ে ভর্তা বানাতে পারেন, তাছাড়া এটা দিয়ে পকোড়া বানাতে পারেন। এছাড়া এটা সিদ্ধ করে যেকোনো সুপের স্টকে দিতে পারেন।
৪) চিংড়ি মাছ রান্না করার প্রথম এবং অন্যতম শর্ত হলো খুব বেশি করে ভাজা যাবেনা। বেশি করে চিংড়ি মাছ ভাজলে চামড়া অনেক বেশি শক্ত হয়ে যায়।
৫)জমাট বাঁধা বরফ থেকে একেবারে ফ্রেশ থেকে বার করে কিন্তু চিংড়ি মাছ রান্না করা যাবে না। তাহলে কিন্তু চিংড়ি মাছের স্বাদ একেবারে খারাপ হয়ে যাবে।