প্রতিদিন বিটের রস পান করার উপকারিতা জানলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করবেন
বিট এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা কঠিন রোগ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। শীতকালে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় তাই বছরের এই তিনটি মাস প্রতিদিন সকালবেলা বিটের রস পান করুন। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে বিট। শুধু তাই নয়, দেহ থেকে টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে বিট। তাই শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন বিটের রস পান করুন।
শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে বিট। শরীরকে সুস্থ সবল রাখার জন্য প্রতিদিন বিটের রস পান করুন। প্রচুর পরিমাণে এনার্জি পাবেন। বিশেষ করে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের যাদের পড়াশোনা করতে হয়, তার সাথে নানান রকম কাজ করতে হয় তাদের এনার্জি লেভেলকে বাড়ানোর জন্য বিটের রস খুব ভালো একটি উপাদান।
হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে বিটের রস। মহিলারা যাদের ক্যালসিয়াম সাধারণত ৩০ বছরের পর থেকে কম হতে শুরু করে তারা প্রতিদিন বিটের রস পান করুন।
ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে বিট। বিট এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয় যার ফলে ত্বক অনেক বেশি সুন্দর থাকে।
বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে বিটের রস। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেওয়ার ফলে ত্বক অনেক বেশি ঝলমলে হয়ে ওঠে যার ফলে আপনাকে বেশি বয়সেও অল্পবয়সীদের মতন লাগে।
যারা অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভুগছেন তারা অন্তত পরপর সাতদিন বিটের রস পান করুন সহজে অ্যানিমিয়া চলে যাবে।
মহিলাদের বিশেষত যারা অনিয়মিত মাসিকের সমস্যায় ভুগছেন, তারা এক মাস প্রতিদিন বিটের রস পান করুন সমস্ত সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন।
যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন বিটের রস পান করুন। বিটের রস পান করলে উচ্চরক্তচাপ একেবারে কমে যায়।
লিভারকে ভালো রাখতে সাহায্য করে বিটের রস। বদহজম, গ্যাস, অম্বল, জন্ডিস, ডায়রিয়া, ফ্যাটি লিভার ইত্যাদি সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে একমাত্র ঔষুধ হল বিট।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে বিট। নিয়মিত পরিমাণে বিটের রস পান করলে অনেক ক্যান্সারের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানো যায়।
তাই সারা বছর না হলেও অন্তত পুরো শীতকালটা জুড়ে নিয়মিত একটি করে বিটের জুস পান করতে পারেন। বিটের রস তৈরি করার জন্য নিন একটি বড় আকারের বিট, একটি গাজর, একটি লেবু খুব ভালো করে কেটে ধুয়ে মিক্সির মধ্যে দিয়ে ছেঁকে নিন। এটি রোজ এক গ্লাস করে পান করুন।