whatsapp channel

Lifestyle: বাড়িতে আজই লাগান এই ঔষধি গাছ, সর্দি কাশি পালাবে ম্যাজিকের মতো

মরশুমের পরিবর্তন শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজোর পর থেকেই ধীরে ধীরে ঠাণ্ডার আমেজ আসা শুরু হয়ে যাবে। এই সময়টাই সর্দিকাশির (Common Cold)। ঘরে ঘরে জ্বরজারি লেগেই থাকে এ সময়ে। ঠাণ্ডা লাগা…

Nirajana Nag

Nirajana Nag

মরশুমের পরিবর্তন শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজোর পর থেকেই ধীরে ধীরে ঠাণ্ডার আমেজ আসা শুরু হয়ে যাবে। এই সময়টাই সর্দিকাশির (Common Cold)। ঘরে ঘরে জ্বরজারি লেগেই থাকে এ সময়ে। ঠাণ্ডা লাগা থেকে হাঁচি কাশি, আর তারপর আবার অনেকের শ্বাসকষ্টের সমস্যাও শুরু হয়ে যায়। এমনিতেই করোনা কালের পর থেকে সর্দিকাশির ধাত বেড়েছে অনেকেরই। এই সর্দি, জ্বর সারাতে তখন নির্ভর করতে হয় তেতো ওষুধ, কফ সিরাপ, ইনহেলারের উপরে। এতশত ওষুধ, সিরাপ সারাদিনে কাজের গতিও করে দেয় ধীর।

তবে আপনার যদি প্রাকৃতিক টোটকা জানা থাকে তাহলে ভরসা করতে হবে না দোকান থেকে কেনা ওষুধে। আমাদের চারপাশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এমন সব প্রাকৃতিক উপাদান যা শরীরের সব রোগ সারানোর ক্ষমতা রাখে। মরশুমের ঠাণ্ডা লাগা বা ভাইরাল জ্বরের জন্য অব্যর্থ বাসক পাতার রস। নিয়ম করে এই পাতার রস খেলে ধারেকাছেও ঘেঁসবে না সর্দিকাশি।

বাসক পাতা

সর্দিকাশি সারাতে বাসক পাতার রসের ব্যবহার নতুন নয়। বহু কাল ধরে মানুষের ঘরে ঘরে টোটকা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে এই পাতা। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও উল্লেখ রয়েছে বাসক পাতার। এই পাতার মধ্যে থাকা ভ্যাসিসিন সর্দি কাশি নিরাময়ে জাদুর মতো কাজ করে। রোজ সকালে খালি পেটে বাসক পাতা ভালো করে ধুয়ে বেটে সেই রসটা খেলে সর্দিকাশি তো সারবেই, ঠাণ্ডা লাগার ধাতও সেরে যাবে। বাসক পাতা স্বাদে তেতো হয়। তাই রসের মধ্যে কয়েকটা তুলসি পাতা এবং সামান্য মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।

শুধু সর্দিকাশি সারাতেই নয়, আরো অনেক কাজে লাগে বাসক পাতা। এই পাতায় অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে ব্রঙ্কাইটিস, হুপিং কাশির সমস্যা দূর করে। বাসক পাতায় থাকা আরট্রাইটিস বাতের ব্যথার ভালো ওষুধ। গেঁটো বাত দূর করতে বাসক পাতা বেটে তার সঙ্গে হলুদ এবং চুন মিশিয়ে লাগাতে পারেন। নিয়মিত বাসক পাতা খেলে রক্ত পরিস্কার থাকে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে এবং রক্তচাপও অনেক নিয়ন্ত্রণে থাকে।

Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।

whatsapp logo
Nirajana Nag
Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই