Hoop Life

Mosquito Prevention Tips: ঘরোয়া টোটকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ! বাড়ি থেকে মশার বংশ দূর করুন এই উপায়ে

মশার সাথে পরিচয় ঘটেনি এমন মানুষ নেই বললেই চলে। কারণ মশার কামড় কমবেশি সকলেই খেয়ে থাকেন দিন প্রতিদিন। বাড়ি হোক বা মাঠঘাট, অফিস হোক বা চায়ের দোকান- মশার এন্ট্রি সব জায়গাতেই মোটামুটি ‘ফ্রি অফ কস্ট’। তবে বাড়িতে মশার উপদ্রব এই বর্ষা ও শরৎকালে তীব্র হয়ে থাকে। তাই এই সময় মশাবাহিত নানা রোগের প্রকোপ বাড়ে। সম্প্রতি, রাজ্যে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যাটা কিন্তু বেশ উদ্বেগজনক। তাই বাড়ি থেকে মশা তাড়ানোর নানা উপায় খুঁজছেন অনেকেই। এক্ষেত্রে নানারকম উপায় বাজারে উপলব্ধ থাকলেও তা থেকে আরো নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই নিবন্ধে মশা তাড়ানোর একটি ঘরোয়া টোটকার সন্ধান রইল, যা আপনার শরীরের ক্ষতি না করেই দূর করবে মশার উপদ্রব।

মূলত জমা জল, আর নোংরা আবর্জনার স্তূপ এই হল মশার প্রধান আড্ডাখানা। মশা মূলত তিন ধরনের হয় – অ্যানাফ্লেক্স মশা, কিউলেস্ক মশা এবং এডিস মশা। এর যথাক্রমে ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া ও ডেঙ্গুর জন্য দায়ী। তবে, মশার মধ্যে শুধুমাত্র মেয়ে মশাই মানুষের রক্ত পান করে। আর ছেলে মশারা কিন্তু ফুলের রস, রঙ ইত্যাদি খেয়ে থাকে। কিন্তু আপনি তো আর খালি দেখে বিচার করতে পারবেন না, যে কে ছেলে আর কে মেয়ে মশা। তাই অগত্যা কানের কাছে গান শোনাতে আসলেই, আপনি কষিয়ে একটি চড় মেরে মশাকে আক্কেল গুড়ুম করে ফেলেন।

তবে এভাবে মশা দূর করা যায়না। কারণ একটিকে হাতে মারলে আরো একশো মশা ঢোকে ঘরের ভেতর। তাই এক্ষেত্রে বাজারে উপলব্ধ রয়েছে মশা তাড়ানোর নানা কয়েল, ধুপ ও লিকুইড। এগুলি জ্বালালে তার থেকে উৎপন্ন ধোঁয়ার কারণে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় মশার দল। তবে জেনে রাখা উচিত যে একটি মশা তাড়ানোর কয়েল থেকে ৭০ টি সিগারেটের সমান ধোঁয়া উৎপন্ন হয় থাকে। এছাড়াও মশা তাড়ানোর লিকুইড তৈরি হয় নানা রাসায়নিক দিয়ে। তাই এগুলি শরীরের পক্ষে অনেকাংশে বেশি ক্ষতি করে মশার থেকেও। তাই এসব পন্থা অবলম্বন করে মানা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে চিন্তার কারণ নেই। একটি ঘরোয়া টোটকার মাধ্যমেই দূর হবে মশা। এর জন্য প্রথমে একটি প্রদীপ নিয়ে নিন। এবার কয়েকটি রসুনের কোয়া ছাল ছাড়িয়ে হালকা থেঁতো করে প্রদীপের মধ্যে দিয়ে দিন। তারপর তার সাথে কর্পূরের গুঁড়ো, তেজপাতার গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার সেই মিশ্রনে সরষের তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে তাতে একটি সলতে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষন পর এই প্রদীপ জ্বালিয়ে দিন। প্রতিদিন এটি করতে পারলেই বাড়িতে আর থাকবে না মশার বংশ।

Related Articles