পাঁচ সমস্যার একটাই সমাধান, বাড়িতে ফিটকিরি রাখার এত সুফল জানতেন?
ফিটকিরির (Potassium Alum) নাম শোনেননি বা দেখেননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অনেক গৃহস্থের ঘরেই থাকে ফিটকিরি। মূলত পানীয় জল পরিশোধন করতেই বেশি কাজে লাগে ফিটকিরি। তবে বর্তমানে পানীয় জল পরিশোধন করার হাজার একটা উপায় বেরিয়ে গিয়েছে। তাই বাড়িতে আর ফিটকিরি দিয়ে জল পরিশোধন করার প্রয়োজন পড়ে না। তাও বাড়িতে ফিটকিরি রাখার অনেক সুবিধা রয়েছে। জল পরিশোধন ছাড়াও অনেক কাজেই লাগে ফিটকিরি। কী কী কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে ফিটকিরি, জানার জন্য এই প্রতিবেদনটি পুরোটা পড়ুন।
ত্বকের পরিচর্যায় ফিটকিরি খুবই উপকারী। মুখের ব্রণ দূর করতে ফিটকিরি খুব কাজে লাগে। এক চামচ ফিটকিরি গুঁড়োর সঙ্গে এক চামচ মুলতানি মাটি আর ডিমের সাদা অংশ দু চামচ মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে ভালো করে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন এভাবে পরিচর্যা করলে ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবেই।
ভালো ভাবে নিয়মিত ব্রাশ করলেও অনেক সময়ে মুখে দুর্গন্ধ হয়। আর নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ ভাবমূর্তিকে এক নিমেষে ভেঙে চুরমার করে দিতে পারে। এর থেকে মুক্তি পেতে এক গ্লাস ফোটানো জলে এক চিমটে নুন আর সামান্য ফিটকিরির গুঁড়ো মিশিয়ে ওই জলে কুলকুচি করুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আর রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করার পর এভাবে কুলকুচি করবেন। মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে ফিটকিরি। ডিওডোরেন্ট হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে ফিটকিরি। ঘামের দুর্গন্ধ ঢাকতে ফিটকিরি গুঁড়োর সঙ্গে গন্ধরস মিশিয়ে নিজস্ব ডিওডোরেন্ট বানিয়ে নিতেই পারেন।
মুখের ভিতর হওয়া ঘা নিরাময়েও দারুণ কাজ করে ফিটকিরি। তবে ফিটকিরি লাগালে একটু জ্বালা করতে পারে। কিন্তু ফিটকিরি লাগানোর পর মুখের লালা গিলে ফেলবেন না। এক টুকরো ফিটকিরি জলে ভিজিয়ে মুখে ভালো করে ঘষে তারপর ফের জল দিয়ে ধুয়ে মুখে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এতে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ার গতি ধীর হয়। বাচ্চাদের মাথায় উকুন হলেও ফিটকিরি কাজে আসে। জলে সামান্য ফিটকিরি গুঁড়ো এবং টি ট্রি ওয়েল মিশিয়ে সেই মিশ্রণ মাথার তালুতে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন। দশ মিনিট ধরে শ্যাম্পু করে ফেলুন। ফিটকিরি উকুন নাশ করতে সাহায্য করে।
Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।