whatsapp channel
Hoop Life

Vastu Tips: ভুল দিকে ঠাকুরের সিংহাসন রাখলে ফল হয় মারাত্মক, জেনে নিন সঠিক নিয়ম

প্রতিটি গৃহস্থের বাড়িতেই ঠাকুরঘর (Prayer Room) একটি অপরিহার্য অংশ। অনেকেই বাড়ি তৈরির সময়ে আগে ঠাকুর ঘরের অবস্থান ঠিক করে নেয়। অনেকের বিশেষ পরিকল্পনা থাকে এই ঘরটি নিয়ে। কেউ কেউ মন্দিরের আদলে রূপ দেয় বাড়ির ঠাকুরঘরকে। কেউ আবার ভিন্ন ধরণের নজরকাড়া ডিজাইনে সাজিয়ে তোলেন ঈশ্বরের আলয়কে। তবে বর্তমানে অনেকেই নিজস্ব বাড়ির বদলে ঝুঁকছেন ফ্ল্যাটের দিকে। আর সেখানে আলাদা করে ঠাকুরঘর করার ব্যবস্থা না থাকায় শোবার বা বসার ঘরের এক কোণেই রাখতে হচ্ছে ঠাকুরের সিংহাসন।

কিন্তু এতে সংসারে যে অমঙ্গল নেমে আসতে পারে তার খোঁজ থাকে না অনেকের কাছেই। বাস্তুশাস্ত্র বলে, ইচ্ছেমতো যেকোনো দিকেই ঠাকুরের সিংহাসন রাখা উচিত নয়। ঠাকুরের সিংহাসন রাখার কিছু নির্দিষ্ট দিক উল্লেখ করে দেওয়া রয়েছে বাস্তুশাস্ত্রে। ভুল দিকে সিংহাসন রাখলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে সংসারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কী বলছে বাস্তুশাস্ত্র।

বাস্তু মতে, দক্ষিণ দিক করে ঠাকুরের সিংহাসন রাখা বা মন্দির স্থাপন করা অনুচিত। এতে পুজো করেও কোনো সুফল পাওয়া যায় না। নিত্য আর্থিক সঙ্কট লেগেই থাকে সংসারে। পরিশ্রম করে উপার্জন করলেও টাকা হাত থেকে বেরিয়ে যায় কোনো না কোনো ভাবে। তাহলে ঠাকুরের সিংহাসন স্থাপন করার সঠিক দিক কোনটা?

বাস্তুশাস্ত্র বলে, উত্তর পূর্ব নয়তো পূর্ব দিকে সবসময় ঠাকুরের সিংহাসন রাখা উচিত। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, এই ভাবে রাখলে ঈশ্বরিক শক্তি উত্তর পূর্ব দিক থেকে প্রবেশ করে এবং দক্ষিণ পশ্চিম দিক দিয়ে প্রস্থান করে। এই দিকে ঠাকুরের সিংহাসন রাখলে সংসারে অর্থ সঙ্কট দূর হয়। জ্যোতিষ মতে উল্লেখ্য, ঠাকুর ঘরের দরজা পূর্ব দিকে মুখ করে বানালে তা বাস্তুর পক্ষে ভালো। যিনি পুজো করবেন তাঁর পশ্চিম দিকে মুখ করে বসা উচিত। এতে সংসারে সর্বদা অর্থ প্রাচুর্য বজায় থাকে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ঠাকুরের সিংহাসনে অনেক সময় পূর্বপুরুষের ছবি রাখেন অনেকে। সেটা করা উচিত নয় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি একই ঠাকুরের একাধিক ছবি বা ভাঙা মূর্তি রাখা কখনোই উচিত নয়। এতে অশুভ প্রভাব বিস্তার হয় সংসারে।

Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই