কাছের মানুষকে হারিয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লেন পরীমণি
পরীমণি (Porimoni) জীবনে শুরু হয়েছে একের পর এক ঝড়। তাঁর স্বামী শরিফুল রাজ (Shariful Razz)-এর সাথে সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছেন পরীমণি। নিজের একমাত্র পুত্রসন্তান মুহাম্মদ শামিম রাজ্য (Muhammed Shamim Rajya)-র যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন পরীমণি। কিন্তু এর মধ্যেই পরীমণির উপর আবারও নেমে এল শোকের ছায়া। নায়িকা হারালেন তাঁর দাদুকে।
View this post on Instagram
রাজের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর পরীমণির দাদু শামসুল হক গাজী (Shamsul Haq Gazi) থাকতেন তাঁর নাতনির কাছেই। দাদুকে ‘নানুভাই’ বলে ডাকতেন পরীমণি। এর আগে যখন দাদু অসুস্থ হয়েছিলেন, সেই সময় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। ইদানিং পরীমণির শরীরও যথেষ্ট ভালো যাচ্ছিল না। মাঝে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। অসুস্থ হয়েছিল রাজ্যও। সেই সময় দাদুই সামলেছেন তাঁর নাতনিকে। কিন্তু বার্ধক্যজনিত কারণে কিছুদিন ধরে পরীমণির দাদুও অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই আচমকা গাজী সাহেবের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। বৃহস্পতিবার রাত দুটো নাগাদ চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে প্রয়াত হয়েছেন পরীমণির দাদু। তবে পরীমণি হয়তো দাদুর শারীরিক পরিস্থিতি দেখে অনেক কিছুই আন্দাজ করতে পেরেছিলেন।
কিছুদিন আগে তিনি জানিয়েছিলেন, দাদুর শারীরিক পরিস্থিতি দেখে তিনি বুঝতে পারছেন না, কখন কি ঘটে যাবে! পরীমণি ভাবতে পারছিলেন না, দাদুকে ছাড়া তিনি থাকবেন কি করে! এদিন গাজী সাহেবের প্রয়াণের সংবাদ শোনার পর মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত পরীমণি সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো পোস্ট করেননি। তিনি দাদুর পার্থিব শরীর নিয়ে রওনা হয়ে গিয়েছিলেন জন্মস্থান পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায়। সেখানে পরীমণির দিদিমার কবরের পাশেই দাদুকে সমাধিস্থ করেছেন নায়িকা। বাংলাদেশের পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী (Chayanika Chowdhury) গাজী সাহেবের মৃত্যুসংবাদ সুনিশ্চিত করে শোক প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে। তিনি লিখেছেন, পরীমণি কি হারিয়েছেন তা শুধু তিনিই জানেন। এদিন চয়নিকাও অংশগ্রহণ করেছিলেন গাজী সাহেবের জানাজায়।
শৈশবে মা-বাবাকে হারিয়েছিলেন পরীমণি। তাঁকে বড় করে তুলেছিলেন পরীমণির দাদু। পরীমণি কয়েক বছর আগে জেলে বন্দি থাকাকালীন তাঁর দাদুর চিঠি বারবার তাঁকে সাহস যুগিয়েছে লড়াই করার। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে জীবনের একটি বড় অংশ হারিয়ে ফেললেন পরীমণি।