টিউবের পিছনে থাকা দাগের রং দেখেই চেনা যায় টুথপেস্টের গুণাগুণ! ৯৯% মানুষই জানেনা সঠিক তথ্য
সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবধি আমাদের কাজে আসে বিজ্ঞান। সেই কারণেই বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য আমাদের রোজকার জীবনে। আর বিজ্ঞানের সব আবিষ্কারের মধ্যে অন্যতম হল টুথব্রাশ ও টুথপেস্ট। সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমরা যে জিনিসটি প্রথম হাতে নিই, তা হল টুথব্রাশ। তার উপর টুথপেস্ট লাগিয়ে দাঁত মাজা আজকাল সকলের অভ্যেস। পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজা ভীষণভাবে জরুরি। কারণ দাঁতে জমে থাকা খাবারের টুকরো থেকেই জন্ম নেয় জীবাণু, যা দাঁতের ক্ষতি করে।
আমাদের দেশে ও এক ব্র্যান্ডের টুথপেস্ট উপলব্ধ রয়েছে। তবে সারা দেশের সকবথেকে বিখ্যাত টুথপেস্ট ব্র্যান্ড হল কোলগেট, ক্লোজআপ ইত্যাদি। এর মধ্যে কিছু টুথপেস্ট পেস্ট হিসেবে পাওয়া যায়, কিছু আবার পাওয়া যায় জেল হিসেবে। এক্ষেত্রে ব্র্যান্ড অনুযায়ী তাদের স্বাদ ও গন্ধের পার্থক্যও দেখা যায়। এছাড়াও পেস্টের মকধ্যে প্রাকৃতিক উপাদানের তারতম্যও দেখা যায় টুথপেস্টের মধ্যে। তবে আৰ টুথপেস্ট পাওয়া যায় টিউবের মধ্যে। আর এই টিউবের মধ্যে একটি জিনিস রয়েছে, যা সব ব্র্যান্ডের পেস্টেই লক্ষ্য করা যায়। সেটি কি? দেখুন।
টুথপেস্টের টিউবের পিছনের দিকে, অর্থাৎ যেদিকে সিল করা থাকে, তার উপর নানা রংয়ের দাগ দেখা যায়। এর মধ্যে লাল, সবুজ, হলুদ ও নীল রং সবথেকে বেশি দেখা যায়। অনেকেই বলেন এই বিভিন্ন রংয়ের দাগ বিভিন্ন জিনিসকে নির্দেশ করে। কারো মতে, যে পেস্টের টিউবে সবুজ দাগ থাকে, সেই পেস্ট শুধুমাত্র প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই তৈরি হয়। একইভাবে নীল হলে সেই পেস্টে কিছু ওষুধের গুন রয়েছে, নীল হলে সেটির মধ্যে ওষুধের পাশাপাশি কিছু রাসায়নিকও থাকে। অন্যদিকে লাল রংয়ের অর্থ হল সেই পেস্টে রাসায়নিকের ব্যবহার বেশি। এইসব ধারণা লোকমুখে অনেক শুনে থাকবেন। তবে এগুলি একটিও এই দাগের আসল কারণ নয়। তাহলে কেন দেওয়া হয় এইসব দাগ? জেনে নিন।
এই বিষয়ে দেশের সবথেকে বড় টুথপেস্ট প্রস্তুতকারক সংস্থা কোলগেট সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের ব্র্যান্ডের সব টুথপেস্ট টিউবে একই গুনাগুন থাকে। ব্যভিন্ন দাগ দেখে তা আলাদা করা উচিত নয়। একইভাবে ওই সংস্থা এই দাগের কারণ বাতলে দিয়ে বলেন যে পেস্ট ভর্তি করে টিউবকে সিল করার কাজে সাহায্য করার জন্যই ওই দাগ দেওয়া থাকে। তবে বিভিন্ন রংয়ের দাগ দেওয়া হয় কোম্পানির হিসেব রাখার সুবিধার্থেই। তাই এই নিয়ে গুজবে কান দেবেন না, গুজব ছড়াবেন না।