নতুন বছর মানেই জীবনের এক নতুন মাত্রা যোগ। নতুন বছরের সূর্যোদয়ের সাথে প্রায় সকলেই অনেকগুলি প্রতিজ্ঞা করে থাকেন। এগুলির পোশাক নাম ‘নিউ ইয়ার রেজোলিউশনস’। তার মধ্যে পৃথিবীর অন্তত সত্তর শতাংশ মানুষ প্রতিজ্ঞা করেন, সকাল ছ’টায় ঘুম থেকে উঠবেন। কিন্তু এই রেজোলিউশনটি প্রতি বার অপূর্ণ থাকে। তবে ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani Halder) সেই পথ দিয়েই হাঁটলেন না। অর্থাৎ কোনো রকম নিউ ইয়ার রেজোলিউশন নেবেন না ইন্দ্রাণী। তাঁর রেজোলিউশন নেওয়ার দিন হল আগামী 6 ই জানুয়ারি। কারণ ওই দিন ইন্দ্রাণীর জন্মদিন। পর্দার শ্রীময়ী অবশ্য প্রত্যেক বার প্রেমে পড়ার রেজোলিউশন নেন।
মধ্য বয়সে পৌঁছে গিয়েছেন ইন্দ্রাণী ও তাঁর স্বামী ভাস্কর (Bhaskar)। একে অপরের পরিপূরক তাঁরা। ভাস্কর বিনোদন জগতের সাথে যুক্ত নন। কিন্তু অভিনেত্রী স্ত্রীর সাপোর্ট সিস্টেম তিনি। তবে ইন্দ্রাণী জানালেন, তাঁর স্বামীর একজন প্রেমিকা আছেন। এই বিষয়টি সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছেন ইন্দ্রাণী। তিনি জানালেন, ভাস্করের সাথে তাঁর দারুণ বোঝাপড়া রয়েছে এই ব্যাপারে। ইন্দ্রাণী জানালেন, তাঁর স্বামী যথেষ্ট স্পোর্টিং। ইন্দ্রাণীও অবশ্য মাঝে মাঝেই প্রেমে পড়ে যান। ভাস্করের সাথে তাঁর প্রেমিকদের কথা শেয়ার করে নেন তিনি। তবে সেই প্রেমিকরা তাঁকে ছেড়ে চলে গেলে ইন্দ্রাণীর চোখের জল মোছাতে হয় ভাস্করকে। অবশ্য ইন্দ্রাণীর স্বামী তাঁকে বলেন, আবারও ভুল করেছেন অভিনেত্রী।
ইন্দ্রাণী প্রেমে পড়লে অবশ্য ভাস্করের প্রতিক্রিয়া, আছেন না গেছেন তাঁর নতুন প্রেমিক! ইন্দ্রাণীর প্রতিক্রিয়া অবশ্য প্রেমিক চলে যাওয়ার পক্ষে। প্রেমিক সম্পর্কে ইন্দ্রাণীর মাপকাঠি হল, লম্বা, ফর্সা, বুদ্ধিমান ও উচ্চ মেধার হতে হবে, একদম তাঁর স্বামী ভাস্করের মতো। চমক এইখানেই। ইন্দ্রাণীর জীবনের তথাকথিত প্রেমিকরা আসলে তাঁর ক্রাশ। ভাস্করের স্থান রয়েছে ইন্দ্রাণীর হৃদয় জুড়ে। আসলে ইন্দ্রাণী মনে করতেন প্রেমে পড়া নয়, প্রেমকে উচ্চতর মর্যাদায় নিয়ে যেতে হয়।
তবে ইন্দ্রাণীর বাবাও ছিলেন রসিক স্বভাবের। তিনি বলতেন, এত প্রেম করা উচিত যাতে গুনতে গুনতে হাত-পায়ের আঙুল শেষ হয়ে যায়।
View this post on Instagram
