শিমুল নির্দোষ প্রমাণ হতেই পালটি খেল পরাগ! ধামাকা প্রোমো ‘কার কাছে কই মনের কথা’য়
একের পর এক টুইস্ট এনে দর্শকদের চমকে দিচ্ছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। জি বাংলার এই সিরিয়াল আর আর পাঁচটা মেগার থেকে অনেকটাই আলাদা। নায়ক হয়েও সিরিয়ালের তথাকথিত নায়কদের মতো দেখানো হয়নি পরাগকে। বরং খলনায়ক হিসেবেই উঠে এসেছে তার চরিত্রটি। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে একটা মেয়েকে কোন কোন পরিস্থিতির শিকার হতে হয়, গার্হস্থ্য হিংসা, অত্যাচার কোন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে তা এই সিরিয়াল না দেখলে বিশ্বাসই করতেন না অনেকে। কম বিতর্কও হয়নি ধারাবাহিকটি নিয়ে।
শ্বশুরবাড়িতে পা রাখা ইস্তক একের পর এক বিপদে পড়ে চলেছে শিমুল। বলা ভাল, জোর করে ফাঁসানো হচ্ছে তাকে। শিমুলের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আবারো বিয়ে ঠিক হয়েছে পরাগের। সব অপমান অসম্মান সয়েও ওই বাড়িতেই পড়ে ছিল শিমুল। কিন্তু বিয়ের দিন ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয় তাকে। পরাগকে বিষ দেওয়ার অভিযোগে জেলে যেতে হয় শিমুলকে। ষড়যন্ত্র করে তাকে জেলে পাঠায় পরাগের ভাই পলাশ আর তার স্ত্রী প্রতীক্ষা।
তবে সম্প্রতি এক নতুন প্রোমো প্রকাশ্যে এসেছে, যা দেখে চমকে উঠেছেন দর্শকরা। নয়া প্রোমো তে দেখা যায়, নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে শিমুল। বৌমা দোষী নয়, তা প্রমাণ হতেই আবারো পালটি খেয়েছেন শাশুড়ি মধুবালা। শিমুলকে বরণ করতে করতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি জানতুম বৌমা সত্যের জয় হবেই। তুমি একদিন আবার এই বাড়িতে ফিরে আসবে’। কিন্তু হাত দিয়ে তার বরণ থামিয়ে শিমুল বলে ওঠে, ‘এবার এসেছি শুধু চলে যাব বলে। অনেক হয়েছে আর নয়’। কিন্তু ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে আসতে গিয়েও বাধা পায় শিমুল। তাকে অবাক করে দিয়ে পরাগ বলে ওঠে, আরেকটা সুযোগ কি দেওয়া যায় না?
প্রোমো দেখে অবাক হয়েছে দর্শকরাও। কয়েকজন লিখেছেন, অবশেষে বোধোদয় হয়েছে পরাগের। কিন্তু এখন যদি শিমুল তার কাছে ফিরে যায় তবে শতদ্রুর সঙ্গে অন্যায় করা হবে। কারণ শিমুলের বিপদে সে-ই পাশে ছিল। আবার কেউ কেউ সন্দেহ করছেন, এটা আবার পরাগের কোনো নতুন চাল নয় তো? শিমুলকে আবারো ফাঁসানোর চেষ্টা করছে না তো সে? শেষমেষ শিমুল কী করবে সেটা অবশ্য জানা যাবে আর কিছুদিনেই।