চলচ্চিত্র জগতে এ এক অন্ধকারময় দিন। প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি পরিচালক কুমার সাহানি (Kumar Shahani)। ‘পেয়ারেলাল’ ছবির পরিচালকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ইন্ডাস্ট্রিতে। হিন্দি ছবির জগতে ভিন্ন ধরণের ছবির সূত্রে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। দীর্ঘ পরিচালনার কেরিয়ারে বহু ছবি উপহার দিয়েছেন কুমার সাহানি। শনিবার কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
হিন্দি এবং বাংলা ছবির জগতে অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক কুমার সাহানি। দীর্ঘ ছয় দশকের বিস্তৃত কেরিয়ার ছিল তাঁর। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন মায়া দর্পণ, তরঙ্গ, কসবা, খেয়াল গাথার মতো কালজয়ী ছবি। পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। সে সময়ে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন আরেক কিংবদন্তি পরিচালক ঋত্বিক ঘটককে। তাঁর ছবিতে পরবর্তীতে পড়েছিল ঋত্বিক ঘটকের প্রভাব। সেকথা তিনি নিজেই স্বীকার করেছিলেন। এমনকি এও মানা হয়, ঋত্বিক ঘটকের অন্যতম প্রিয় ছাত্র ছিলেন কুমার সাহানি।
১৯৪০ সালে সিন্ধের লারকানায় জন্মগ্রহণ করেন কুমার সাহানি। তবে স্বাধীনতার পরে মুম্বইতে চলে আসে তাঁর পরিবার। স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবির হাত ধরেই পরিচালনায় কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। তাঁর প্রথম পরিচালিত ছবি ‘মায়া দর্পণ’ হিন্দি ছবিতে জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছিল। তাঁর ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ওম পুরী, স্মিতা পাটিলের মতো খ্যাতনামা অভিনেতা অভিনেত্রীরা। ১৯৯৭ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে ‘চার অধ্যায়’ ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন কুমার সাহানি। খুবই চর্চিত হয়েছিল ছবিটি।
৮৩ বছর বয়সে পরলোকে পাড়ি দিলেন কিংবদন্তি পরিচালক। প্যারালাল বা সমান্তরাল চলচ্চিত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। পরিচালক কুমার সাহানির প্রয়াণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে বড় ক্ষতি তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পরিচালকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পরিচালক, প্রযোজক এবং চলচ্চিত্র জগতের সদস্যরা। তাঁর মৃত্যুতে কার্যত ইন্দ্র পতন হয়েছে চলচ্চিত্র জগতে। কিংবদন্তি পরিচালক কুমার সাহানির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ হয়ে রয়েছে গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।