whatsapp channel
Hoop PlusReality show

Mamata Banerjee: বাবার অবর্তমানে সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে, ছোটবেলার গল্প বললেন মুখ্যমন্ত্রী

ইতিহাস রচনা হতে চলেছে বাংলা টেলিভিশন জগতে। এই প্রথম কোনো রিয়েলিটি শো তে আসতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্চালিত বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় নন ফিকশন শো ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’এ বিশেষ অতিথি হয়ে আসতে চলেছেন তিনি। এক দিদির মঞ্চে আরেক দিদিকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে দিন গুনছেন দর্শকরা। এমন পর্ব বাংলা টেলিভিশনে প্রথম হতে চলেছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

ইতিমধ্যেই জি বাংলার তরফে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে একটি প্রোমো। প্রোমোতে নিজের মেয়েবেলার স্মৃতিচারণ করতে শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। রচনার আবদারেই নিজের শৈশব নিয়ে মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, অনেক ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে ছিলেন তিনি। গোটা সংসারের দায়িত্ব এসে পড়েছিল তাঁর কাঁধে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, তখন তাঁর বয়স মাত্র ১০-১১ বছর। রাত তিনটের সময়ে উঠে রান্নাবান্না সেরে রেখে তারপর স্কুলে যেতেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খানিক আক্ষেপ করেই বলেন, ‘আমার ছোটবেলাটা হারিয়ে গিয়েছে’।

এর আগে প্রথম প্রোমোতে সঞ্চালিকা রচনাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘এই প্রথম বার দিদি নাম্বার ওয়ান অনুষ্ঠানে আসছেন বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করতে যেতেই রচনার হাত ধরে ফেলে উত্তরীয়টি তাঁকেই পরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘এটা তোমাকেই শোভা পায়’। প্রোমোতে আরো কয়েকজন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে নাচের তালে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশে ছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরো এক চমক, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়।

আসলে গত মাসেই রচনার নবান্নে যাওয়া নিয়ে তুঙ্গে উঠেছিল জল্পনা। প্রাথমিক ভাবে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, সম্ভবত আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়াতে পারেন দিদি নাম্বার ওয়ান। যদিও রচনা জানিয়েছিলেন, চ্যানেলের তরফে একটি প্রস্তাব নিয়েই তিনি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সেই প্রস্তাবে নাকি ইতিবাচক সাড়াও এসেছে। আগামী ৩ রা মার্চ রবিবার দেখানো হবে এই বিশেষ পর্ব।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই