সোশ্যাল মিডিয়া যদি যে বর্তমানে কতটা শক্তিশালী একটি মাধ্যম তা প্রমাণ হয়ে যায় বারবার। বিশেষ করে বিনোদনের ক্ষেত্রে এই মাধ্যমের গুরুত্ব অপরিসীম। এই সময়ের প্রায় সব অভিনেতা অভিনেত্রীরাই উপস্থিত রয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই প্ল্যাটফর্মকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিচার করেন সকলেই। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা বাস্তব জীবনে যথেষ্ট প্রভাবশালী। এর অন্যতম বড় উদাহরণ মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarcar)। ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দায় পা রাখলেও এখনো পর্যন্ত তথাকথিত হিট ছবি তাঁর ঝুলিতে সেই অর্থে ওঠেনি। কিন্তু মধুমিতা অচিরেই উঠে এসেছেন ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারিতে। আর এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার কৃতিত্ব অস্বীকার না করলে চলবে না।
অনেক কম বয়সে অভিনয়ে পা রাখেন মধুমিতা। ধাপে ধাপে সাফল্যের সিঁড়িতে চড়েছেন তিনি। সঞ্চয় করেছেন অভিজ্ঞতা। ছোটপর্দায় বহুদিন হয়ে গেল আর দেখা যায় না মধুমিতাকে। বড়পর্দা এবং ওয়েব সিরিজ নিয়েই ব্যস্ত তিনি। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিয়ম করে অনুরাগীদের জন্য পোস্ট করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় থাকেন মধুমিতা। বিশেষ করে ইনস্টাগ্রামে তাঁর আলাদাই জনপ্রিয়তা রয়েছে। ২.৩ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে।
ইদানিং যেন বোল্ডনেস কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে মধুমিতার। স্বল্প পোশাকে করা তাঁর ফটোশুট গুলি যে কারোর হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। সম্প্রতি মধুমিতার কয়েকটি ছবি জায়গা করে নিয়েছে চর্চার কেন্দ্রে। শ্যাওলা সবুজ রঙের ডিপ নেক গাউন পরেছেন তিনি। সঙ্গে গলায় লেয়ারড নেকলেস, হালকা মেকআপ আর খোলা চুল। নজর কেড়ে নিয়েছে মধুমিতার হাতের ট্যাটু। রাজকীয় লুকে অভিনেত্রীর এই ছবিগুলি বেশ পছন্দ করেছেন নেটিজেনরা।
এখন আর ছোটপর্দায় কাজ না করলেও জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে মধুমিতার। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই খ্যাতির শীর্ষে উঠছেন তিনি। এমনকি ইনস্টাগ্রামে তাঁর ছবি পৌঁছে গিয়েছে বলিউডেও। প্রসঙ্গত, বাংলায় মধুমিতাকে শেষবার দেখা গিয়েছে ‘চিনি ২’ ছবিতে। তবে তিনি শুধুমাত্র বাংলা ছবিতেই নিজেকে আটকে রাখেননি। ইতিমধ্যেই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও অভিষেকের জন্য তৈরি হচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি দাদাগিরিতে গিয়েছিলেন মধুমিতা। সেই ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিয়েছিলেন তিনি।
View this post on Instagram