বছর চারেক আগেই অসংখ্য মহিলা ভক্তদের মন ভেঙে বিয়ে সেরেছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya)। দীর্ঘদিনের সঙ্গিনী মধুরিমা গোস্বামীর (Madhurima Goswami) সঙ্গেই আইনি বিয়ে করেছিলেন তিনি। এর মধ্যেই টলিপাড়া সরগরম তাঁদের বিচ্ছেদের গুঞ্জনে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও চর্চায় অনির্বাণ মধুরিমার বিবাহিত জীবনের হাল হকিকত। কিন্তু সত্যিটা কী? তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে তা কি সত্যি? এবার উত্তর দিলেন মধুরিমা স্বয়ং।
‘এখনো এসব নিয়ে আলোচনা চলছে! আমার তো ভেবেই হাসি পাচ্ছে’, এমন ভাবেই প্রতিক্রিয়া দিলেন মধুরিমা। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি স্পষ্টই জানান, কোনো বিচ্ছেদই হচ্ছে না তাঁদের। তবে যদি সত্যিই এমনটা হত তাহলে হয়তো এই কথাটা শুনতে তাঁর খারাপ লাগত। তবে যেহেতু তেমন কিছুই হচ্ছে না তাই তিনি স্পষ্টই জানান যে এটা স্রেফ গুজব। এমন গুজব হঠাৎ কেন ছড়াল তা না জানলেও মধুরিমা বলেন, বিয়ের পর থেকে অনির্বাণের মহিলা অনুরাগীদের থেকে যেভাবে অভিশাপ পেয়ে চলেছেন তিনি তাতে তাঁদের বিয়ে ভাঙলে অনেকেই খুশি হবেন।
অথচ অদ্ভূত ভাবে বিয়ের পরেও স্বামীকে ‘অনির্বাণদা’ বলেই ডাকেন মধুরিমা। আসলে অনেক ছোট থেকেই অভিনেতাকে চেনেন মধুরিমা। দীর্ঘ ১২ বছরের সম্পর্ক তাঁদের। প্রথম থেকেই অভিনেতাকে দাদা বলেই এসেছেন তিনি। তাই বিয়ের পরেও স্বভাবটা বদলাতে পারেননি বলে জানান মধুরিমা। শোনা যায়, একসঙ্গে নাটক করতে গিয়েই সম্পর্কের সূত্রপাত অনির্বাণ মধুরিমার। তবে এই সম্পর্ক নিয়ে কখনোই খোলাখুলি ভাবে কথা বলতে শোনা যায়নি অভিনেতাকে। তাই আচমকা তাঁর বিয়ের খবরে জোর চমকেছিলেন অনুরাগীরা।
অনির্বাণ নিজেও অবশ্য এই বিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন আগে। তিনি বলেছিলেন, এটা তাঁর সঙ্গে জুড়ে থাকা এক ব্যক্তি এবং তাঁর সঙ্গে জুড়ে থাকা আরো কিছু ব্যক্তির বিষয়। এ নিয়ে তিনি কিছুই বলবেন না। তবে তিনি অন্তর থেকে চাইবেন যেন এটা না হয়। নিজের মধ্যে থেকেই যেন এটার সমাধান করতে পারেন তিনি। অনির্বাণ আরো বলেছিলেন, হয়তো কোনো অভব্য আচরণ তিনি করবেন না, তবে যাঁদের নাম জড়িয়ে গিয়েছে তাঁদের অস্বস্তি যতটা কমানো যায় সেই চেষ্টা তিনি করবেন।