জমা জলের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে সাধারণ মানুষ, ব্যান্ডেল সাবওয়ে নিয়ে শুরু দুর্দান্ত পরিকল্পনা
দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এসে গেছে। বর্ষার আসার কথা শুনে দক্ষিণবঙ্গবাসীর মনে বেশ আনন্দ হচ্ছে কিন্তু জল জমার ঘটনায় রীতিমতো সকলেই পাগল হয়ে গেছেন। ব্যান্ডেলবাসীরা রীতিমতো দিতে বিরক্ত, বর্ষা মানেই ব্যান্ডেল হয়ে যাদের রোজ অফিস যেতে হয়, তাদের মাথায় বাজ পড়ে, কারণ ব্যান্ডেলের সাবওয়ে নিচে জমে থাকা জল ডিঙিয়ে তাদের প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। যা বেশ দুশ্চিন্তার কারণ।
সাবওয়ের নিচে জলনিকাশি ব্যবস্থা থাকলেও বৃষ্টির জল জমে থাকে এখানে, বর্ষা এলে একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। বছরের পর বছর এই যে জল যন্ত্রণা সেখান থেকে বাঁচার জন্য স্থানীয় মানুষরা আন্দোলন করেছেন কিন্তু কোন ভাবেই কোন সমস্যা মেটেনি।
তবে এবার আর ব্যান্ডেলবাসীকে চিন্তা করতে হবে না, ব্যান্ডেল স্টেশনের সামগ্রিক পরিবর্তন করা হচ্ছে, কেবলমাত্র স্টেশনটি যে ঝাঁ চকচকে হবে, তা কিন্তু নয় সাবওয়েতে যে হাঁটু জল থাকে, সেটাও পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ অবশ্যই স্থানীয় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে। স্টেশন ঝাঁ চকচকে হবে আর সাবওয়েতে হাঁটু জল থাকবে তা তো হতেই পারে না।
পুরো এই বিষয়টা নিয়ে বৈঠক হয়েছিল সেখানে ঠিক করা হয় পুরো এলাকায় যে সমস্ত নিকাশি ব্যবস্থা রয়েছে তা পুরসভার উদ্যোগে তাড়াতাড়ি যথেষ্ট সম্ভব করা যায় পরিষ্কার করে দেওয়া হবে। নিকাশে নালাগুলো যে সমস্ত এই এলাকার ওপর দিয়ে গেছে সেখানে রয়েছে একাধিক পঞ্চায়েত এই নিকাশে নালাও পরিষ্কার করা হবে ক্ষেত্রের পঞ্চায়েত কে সব রকম দিক থেকে সাহায্য করতে রাজি হয়েছে রেল।
অতিরিক্ত জল জমার একটা অন্যতম কারণ হলো নর্দমায় প্লাস্টিকের প্যাকেট পড়ে থাকা। সেজন্য জায়গায় জায়গায় জাল বসাতে হবে, এবং ব্যান্ডেল স্টেশন কে কার্যত বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে, স্টেশন থেকে বাইরে বেরোলেই এই যে জল যন্ত্রণা, সেটা আশা করা যাচ্ছে, এবার শেষ হতে চলেছে।
ব্যান্ডেলের বাসিন্দারা ভাবছেন, ব্যান্ডেল স্টেশন রোড ধরে জি টি রোডে আসা কিংবা দিল্লি রোড হয়ে যাওয়ার জন্য এই সাবওয়ে একমাত্র ভরসা। প্রতিদিন এখান দিয়ে অনেক মানুষ যাতায়াত করেন। ব্যান্ডেল থেকে মগরার দিকে যে অটোগুলো আসে, সেগুলো এই সাবওয়ের মধ্যে দিয়ে যায়। বৃষ্টির জল জমলে অটো যেতে ভীষণ অসুবিধা হবে, তবে স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, এখান থেকে রস ভরা খাল যেটা গঙ্গায় মিশেছে, সেটা প্রথম সংস্কার করতে হবে। সেটার সংস্কার না করলে কোন সমস্যাই মিটবে না। অন্তত স্থানীয় মানুষরা এটাই বলছেন।