লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে দু সপ্তাহের বেশি হয়ে গিয়েছে। এ বারের ঘাটাল থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সাংসদ পদ ধরে রেখেছেন তৃণমূলের তারকা সদস্য দীপক অধিকারী ওরফে দেব (Dev)। আর এবার প্রতিশ্রুতি মতোই নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান (Ghatal Master Plan) তৈরির তোড়জোড় শুরু করে দিলেন তিনি। জানা যাচ্ছে, গত ১২ ই জুন এই প্রসঙ্গে সেচ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন দেব। সেখানে নেওয়া সিদ্ধান্তের পরেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান কার্যকর করতে আধিকারিকদের সঙ্গে ঘাটালে আসেন আধিকারিকদের সঙ্গে।
প্রতি বছরই বর্ষাকালটা দুঃসহ হয়ে ওঠে ঘাটালবাসীদের কাছে। প্রতি বছরই বন্যা বিধ্বস্ত ঘাটালবাসী অপেক্ষায় থাকে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান কার্যকর হওয়ার। সাংসদ দেবের মুখেও বহুবার এই মাস্টারপ্ল্যানের কথা শোনা গিয়েছে। এবার বর্ষার আগে প্রথমেই দাসপুরের দুটি সেচ খাল চন্দেশ্বর এবং শোলাটোপা খাল সংস্কারের কাজ শুরু হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, দেবের সঙ্গে বৈঠক করার পরেই সেচ আধিকারিকরা দাসপুরে আসেন। জানা যাচ্ছে, বৈঠকে ঠিক করা হয়েছিল, বন্যার জলের চাপ কমাতে দুটি সেচ খালকে কংসাবতী এবং শিলাবতী নদীর সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করতেই আধিকারিকরা দাসপুরে এসেছিলেন। জানা যাচ্ছে, ৫ কিমি প্রস্তাবিত খাল কাটার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রথম বার সাংসদ হয়ে লোকসভায় ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কথা তুলেছিলেন দেব। কিন্তু তারপর বছরের পর বছর কাটলেও এ সংক্রান্ত কোনো কাজই দেখা যায়নি। ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানই ছিল তৃণমূলের অন্যতম হাতিয়ার। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যদি দেব এবং জুন জেতেন তাহলে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান উপহার দেওয়া হবে। কেন্দ্রের তরফে টাকা না দেওয়া হলে রাজ্য টাকা দেবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
পালটা বিজেপির তরফে কটাক্ষ এসেছিল, কেন্দ্র নাকি বরাদ্দ টাকা দিয়েছে। কিন্তু রাজ্য বাকি টাকা দিয়ে কাজ শুরু করতে পারেনি। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এক মাসের মধ্যে কেন্দ্র যদি টাকা না দেয় তবে ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে বাস্তবায়িত করা হবে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান। অবশেষে কাজ শুরু হতে আশার আলো দেখছে ঘাটালবাসী।