‘বাংলা নিরাপদ’, আরজিকর কাণ্ডে মুখ খুলে বিষ্ফোরক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (RG Kar Medical College Hospital) ঘটনায় ক্ষোভ অব্যাহত রাজ্য জুড়ে। শহর সহ জেলার চিকিৎসকরাও একটানা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে চলেছেন। ঘোষণা করা হয়েছে কর্মবিরতির। শুক্রবার আরজিকর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ। তাঁকে হাসপাতালের মধ্যেই ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উঠছে। ঘটনার নৃশংসতায় বিচারের দাবিতে সোচ্চার বিভিন্ন মহল। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)।
বর্তমানে তিনিই কলকাতার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। এনসিআরবির রিপোর্টে দেশের মধ্যে কলকাতাকে সবথেকে নিরাপদ শহর বলে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আরজিকর এর এই ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে সেই নিরাপত্তা নিয়ে। কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও যদি মহিলারা নিরাপদ না হন, তবে নিরাপত্তা কোথায়? আরজিকর এর ঘটনায় এদিন সৌরভ বলেন, খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা এটি। ছেলে হোক বা মেয়ে, কারোর সঙ্গেই এমনটা হওয়া উচিত নয়।
তবে কলকাতার নিরাপত্তার প্রশ্নে বাংলার ‘মহারাজ’ বলেন, ভারতকে সাধারণত একটি নিরাপদ দেশ হিসেবেই সারা বিশ্ব চেনে। বাংলাও নিরাপদ। এখানে এ ধরণের ঘটনা হওয়া উচিত নয়। সৌরভ বলেন, কোনো একটি নির্দিষ্ট ঘটনা থেকে সমগ্র চিত্র বিচার করা উচিত নয়। তবে প্রতিটি হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারির প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আরজিকর এর ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় কলকাতা পুলিশের বেশ প্রভাবশালী একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। যদিও শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ কমিশনার এ সংক্রান্ত প্রশ্ন এড়িয়ে যান। লালবাজার সূত্রে খবর, আরজিকর হাসপাতালের সেমিনার হলে, যেখানে ওই তরুণী চিকিৎসক বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন, সেদিন ভোর রাত ৪ টে থেকে সাড়ে ৪ টের মধ্যে ঘটানো হয়েছিল ওই নৃশংস ঘটনা। তরুণী চিকিৎসক গভীর ঘুমে থাকাকালীন তাঁর উপরে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়।
তদন্ত থেকে অনুমান করা হচ্ছে, তরুণী চিকিৎসক গভীর ঘুমে থাকাকালীন প্রথমটা কিছু ঠাহর করতে পারেননি। তারপরেই আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন তিনি। তখনই তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এদিন লালবাজারের তরফে আরো বলা হয়েছে, খুন করার পরেই সম্ভবত ধর্ষণ করা হয় তরুণী চিকিৎসককে। তবে অভিযুক্ত হাসপাতালের মধ্যে চার তলার সেমিনার হলে কীভাবে পৌঁছালেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।