লক ডাউনের পরবর্তী সময় থেকে বাংলা সিনেমা জগতের হাল খুবই খারাপ হয়। অনেকেই কম পারিশ্রমিক নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন যে তারা কাজ করেছেন অথচ টাকা পাননি। এমনকি একটা সময় অভিনেত্রীরা বা অভিনেতারা সিনেমা পিছু যেই অঙ্ক পেতেন বর্তমানে তা হাফ হয়ে দাড়িয়েছে। এছাড়াও সিনেমা হল বন্ধ থাকার জন্য বেশ কিছু সিনেমা ও টি টি প্ল্যাটফর্মে রিলিজ করেছে যেগুলির ব্যাবসায়িক সাফল্য ছিল মোটামুটি। ধীরে ধীরে সব কিছু স্বাভাবিক হওয়ার পর বাংলা ইন্ডাস্ট্রির জন্য এগিয়ে এলো NFDC.
কি এই এনএফডিসি? এটির পুরো কথা হল – জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন । এটি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলচ্চিত্রের অর্থায়ন, প্রযোজনা ও পরিবেশনের কাজে নিয়োজিত। এর প্রাথমিক লক্ষ্য ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের একটি সংহত ও দক্ষ বিকাশ পরিকল্পনা, প্রচার এবং পরিচালনা এবং চলচ্চিত্রের উৎসাহ বৃদ্ধি করা।
এদিন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর (Prakash Javadekar)র সঙ্গে বৈঠক করতে হাজির হন টলিউডের একঝাঁক কলাকুশলীরা, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, মমতা শঙ্কর, আবীর চট্টোপাধ্যায়, পাওলি দাম, তনুশ্রী চক্রবর্তীরা।
বৈঠক শেষে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সংবাদমাধ্যমদের জানান যে গতকালের ফোরামে শিল্পীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বৈঠক হয়। বিভিন্ন বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। NFDC-র তরফে বাংলা সিনেমাতে ভালো কিছু করার ভাবনাচিন্তা রয়েছে। এর আগেও অবশ্য বহু বাংলা সিনেমা NFDC-র প্রযোজনায় হয়েছে। আরও বেশকিছু বিষয়ে আমাদের সমস্যার কথা প্রযোজক, ডিস্ট্রিউটার্সরা জানিয়েছি। সেগুলো দেখার কথা বলা হয়। পুরো আলোচনাটাই ইতিবাচক। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো কিছু করার সদিচ্ছা তাঁদের রয়েছে। ঋতুপর্ণা আরও জানান, “আমরা যেটা বলেছি, তাঁরা সেটা নোটও করেছেন এবং ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।”