Bengali SerialHoop Plus

পরনে নেই রাজ পোশাক, শুটিংয়ের ফাঁকে সমুদ্র বেড়াতে এলেন ভূপাল-গদাধর ও রানীমা

ঘুম থেকে উঠে মুখে কিছু দিয়ে রোজ সেই কাজের জায়গায় একটানা ১২ ঘন্টা কাজ করতে কারই ভালো লাগে। হ্যাঁ সাধারণ মানুষ হোক কিংবা সেলিব্রেটি সকলেরই একটু একঘেঁয়েমি তো লাগবে। অভিনেতা -অভিনেত্রীদের কথা ভাবুনতো যারা আমাদের মনোরঞ্জন করার জন্য নিত্যদিন ১২-১৬ ঘন্টা শ্যুটিং ফ্লোরে কাটিয়ে দেন। আর কলাকুশলীরা নিজেদের রোজের রুটিং থেকে একটু ছুটি পায় তাহলে এদের আর পায় কে। ছুটির ঘন্টা বেজে গেলেই নিজেদের মন ভালো রাখার জায়গায় ছুটে বেড়ায় সকল তারকা।

সবসময় যে খুব দূরে কোথাও ঘুরতে গিয়ে যে আনন্দ পাওয়া তা কিন্তু নয়। কাছাকাছি কম সময়ের মধ্যে গিয়েও কিন্তু বেশ মন ফুড়ফুড়ে হয়। যেমন ধরুন না ‘করুণাময়ী রাণী রাসমনি’ ধারাবাহিকের গদাই ঠাকুর, রানীমা, আর ভোপাল চন্দ্র। এই তিনমাথা একসাথে জোট বেঁধে ব্যস্ত রুটিং এর ফাঁকে সমুদ্রের বুকে নিজেদের তৃপ্তি খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন। এরকমই ঘটলো এদের সাথে। গত শুক্রবার টালিগঞ্জের ইন্দ্রপুরিতে সন্ধ্যেতেই প্যাক আপ বলতেই রানীমা নিজের সাদা শাড়ি, গদাধর সাধ ধুতির কোঁচা আর ভোপাল নিজের পাঞ্জাবি ছেড়ে নিজেদের ভোল পাল্টে গাড়ি করে গান গাইতে গাইতে চললেন তাজপুরের উদ্দেশ্যে।

শহর ছাড়তেই সারাদিনের সব ক্লান্তি পালিয়ে গেল নিমেষে। সকলের গলায় তখন একটাই গান ‘আমাদের ছুটি ছুটি, চল নেব লুটি…’! রাতের অন্ধকারে প্রকৃতির হাওয়া খেতে খেতে সমুদ্রের দিকে এগিয়ে যাওয়া সে এক আলাদাই অনুভূতি। এই তিন মাথার সাথে ছিল তাদের পরিবার আর বন্ধুরা। মোট ২২ জন মিলে তাজপুরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। দিতিপ্রিয়ার বাবা-মায়ের বন্ধু, সৌরভের পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে বিশ্বাবসুও।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Sourav Saha (@sourav_saha6)

এই ছোট্ট ট্রিপে প্রথম অনেকের সাথে আলাপ পুরোনো বন্ধুর মতো মিশে যাওয়া। ২২জন মিলেই জমিয়ে আড্ডা, নাচ, গান। বয়সের কোনো সীমারেখা ছিলনা ছিল আনন্দের না মান বাঁধ। রাত ১২টাতে রিসর্টে ঢুকতে না ঢুকতে ভোর রাত অব্দি চললো সমুদ্রের ধারে আড্ডা। পরদিন সকালে সমুদ্রের ধারে চললেন দল বেঁধে। সমুদ্রে সকলে স্নান করলেও স্নান করেননি এই তিন কলাকুশলী। সকালে সমুদ্রের ধারে গিয়ে বেশ খুশি ছিল জুনিয়র গদাধর। সে তো বালিতেই বসে কখনও দুর্গ, কখনও আবার ছোট বাড়ি বানানোর জন্য কত প্রচেষ্টা। দিতিপ্রিয়াও ছোট্ট গদাধরের সাথে বসে বালি দিয়ে নাম লিখতে, দুর্গ বানাতে বসে পড়েছিলেন। সূর্য অস্ত যেতেই আগুন জ্বালিয়ে বোন ফায়ার করে গান চালিয়ে নাচ। আর খাওয়া দাওয়াতে ছিল পমফ্রেট, আমোদি, ভেটকি হরেক রকম সামুদ্রিক মাছ। এইভাবে দুদিন মজা করে আবার সোমবার ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে ব্যক। তবে এই স্বর্গীয় ছোট্ট ট্রিপের নানান মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ ভাইরাল।

Related Articles