মহিলাদের স্তন কিসের জন্য? শুধুই সন্তান প্রতিপালন নাকি আরো কিছু? হ্যাঁ, এতে আবেগ থাকে, কিছু অনুভূতি থাকে এবং এই সবটাই হরমোনাল। আমাদের চাহিদা, অভিব্যক্তি সবটাই হরমোনের উপর নির্ভরশীল। আমরা মন নাম দিলেও আমাদের লালসা, কামনা তখনই বিকৃত হয় যখন আমরা আমাদের হরমোনাল ব্যালেন্স করতে পারি না। সেরকমই কেউ একজন অভিনেত্রী সায়ন্তনী ঘোষকে জিজ্ঞাসা করলেন অদ্ভুত ও বিকৃত প্রশ্ন। কি সেই প্রশ্ন?
অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয় তার স্তনের মাপ কত? এখানেই শেষ নয়, তাকে এও জিজ্ঞাসা করা হয় সে কত সাইজের অন্তর্বাস পরিধান করে? এবং তার কাপের সাইজ উল্লেখ করেন সেই ব্যাক্তি। চলুন দেখে নিই অভিনেত্রী তার ইনস্টাগ্রামে কি কি লিখলেন এই নিয়ে?
অভিনেত্রী সায়ন্তনী লেখেন, “গতকাল কথোপকথন সেশনে এক ব্যক্তি আমায় আমার অন্তর্বাসের সাইজ জিজ্ঞাসা করেছিলেন। আমি তাঁকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছি। তারপরেও আমি আরও কিছু বলতে চাই। যদিও বডি শেমিং বিষয়টিই খুব খারাপ। তবুও একটা বিষয় আমার মাথায় কিছুতেই ঢুকছে না, যে মহিলাদের স্তনের প্রতি কী এত মোহ? এর মাপ কত? কেন এটা মেনে নেওয়া যায় না যে এটাও শরীরের একটা অঙ্গ।”
সায়ন্তনী আরও লিখেছেন, “আমি জানি এটা মাতৃত্বের বিষয়, বা নির্দিষ্ট কোনও আবেগের বিষয়, কিন্তু শরীরের অন্য অঙ্গের বিষয় তো এটা হয়না। আমি জানি না, স্তনের প্রতি এ জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের মতো কিছু মহিলাকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় কেন আমার স্তন ছাড়া বুক হল না? আমাদের মধ্যে কিছু লোকজন আবার ইমপ্লান্টের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।”
View this post on Instagram
সায়ন্তনী থামেননি। এরপরেও তিনি ঘৃণ্য মানসিকতার কিছু পুরুষদের উদ্দেশ্য করে লেখেন, “পুরুষদের এই অধিকার কে দেয়? পুরুষরা কেন মনে করে যে তাঁরা কোনও মহিলার সঙ্গে এভাবে কথা বলতে পারেন? হয়তবা এটা আমাদেরই দোষ। মহিলারাই বা কেন এগুলি মেনে নেন? কেন উত্তর দেন না? প্রায়শই আমরা এবিষয়ে লজ্জা বোধের কারণে পুরুষদের মুখোমুখি হতে, কিংবা এই জাতীয় বিষয়গুলি আমরা এড়িয়ে চলি।”