রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানেই কি হতে চলেছে মিঠাই ও উচ্ছেবাবুর বিবাহ বিচ্ছেদ!
জি বাংলার জনপ্রিয় ডেইলি সোপ ‘মিঠাই’-এর টিআরপি ক্রমশ বাড়ছে। ‘মিঠাই’ ও ‘উচ্ছেবাবু’-র রসায়ন দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছে। এর মধ্যেই মিঠাই ও উচ্ছেবাবু ওরফে সিদ্ধার্থর বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজ নিয়ে প্রবেশ করেন আইনজীবি রেবতী।
রাতুলের পাকাপাকি দেশে বসবাসের সিদ্ধান্ত ভালো না লাগায় বিয়ের দিন সাময়িক দুর্বলতার কারণে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল শ্রীনিপা। সেই ঘটনা চাপা দেওয়ার জন্য রাহুলের সঙ্গে মোদক বাড়ির মেয়ে শ্রীতমার বিয়ে দেওয়া হয়। এরপর নতুন মেয়ে-জামাইকে নিয়ে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের আনন্দে মেতে ওঠে। কিন্তু প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের সময় মিঠাই ও সিদ্ধার্থর বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজ নিয়ে আসরে ঢোকে আইনজীবি রেবতী। লাল পাড় সাদা শাড়ি পরিহিতা মিঠাই বিস্ময়ে হতবাক। সিদ্ধার্থকে দেখেও মনে হচ্ছে, তারও যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে।
কিন্তু মোদক বাড়ির কর্তা দাদাই সিদ্ধার্থর জন্য এই বিবাহ বিচ্ছেদকেই সঠিক বলে মনে করেন। কারণ দাদাইয়ের সম্মান রাখতে গ্রামের মিষ্টি বিক্রেতা মিঠাইকে বিয়ে করেছি দাদাইয়ের ছোট নাতি সিদ্ধার্থ। কিন্তু এই বিয়ে সে মন থেকে মানতে পারেনি। ফলে সিদ্ধার্থকে এই বিয়ের হাত থেকে মুক্তি দিতেই সিদ্ধার্থ ও মিঠাই-এর বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দাদাই।
তবে আগেও একবার সিদ্ধার্থ ও মিঠাই-এর বিবাহ বিচ্ছেদের কথা উঠেছিল। কিন্তু তখন মোদক পরিবারের মেয়ে শ্রীনিপার সঙ্গে মোদক পরিবারের জামাইয়ের ভাই রাতুলের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এই কারণে সিদ্ধার্থ ঘোষণা করেছিল বিবাহ বিচ্ছেদের উপযুক্ত সময় এটা নয়। ফলে মোদক পরিবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল। আশ্বস্ত হয়েছিলেন ‘মিঠাই’-এর অনুরাগীরাও। আপাতত 14 ও 15 ই মে রাত আটটায় মোদক পরিবারে চলবে রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে। রবীন্দ্রনাথের গানে, কবিতায় মিঠাই কি শক্তি পাবে তার বিবাহ বিচ্ছেদ আটকানোর?