কথায় আছে love at first sight. কিন্তু, রাই সুন্দরী এই মতবাদে একদম বিশ্বাসী নন। অনেকেই আছেন যারা প্রথম দর্শনেই প্রেমে হাবুডুবু খান। এক ঝলক দেখার পরেই প্রেম নিবেদন। যদিও মানুষ পরিণতি নিয়ে তখন বিশেষ ভাবেন না, শুধু প্রথম দর্শনেই ভালোলাগাকে প্রেম পর্যন্ত নিয়ে যান। কিন্তু, এমন ব্যাপারে বিশ্বাসী নন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন।
ঐশ্বর্যের ব্যাক্তিগত জীবনে দুটো প্রেম এসেছিল বলে গুঞ্জন। প্রথমে সালমান খান এবং পরে বিবেক ওবেরয়। দুটি প্রেমেই ভাঙ্গন আসে। প্রথম প্রেম নিয়ে বহু বিতর্ক আছে, শরীরকে থেকে মানসিক দুই শান্তিতেই ভুগেছিলেন রাই সুন্দরী। এরপর বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ঐশ্বর্যের। যদিও বিবেকের দাবি, সালমান তার কেরিয়ার নষ্ঠ করেছিলেন একটা সময়।
একটা সময় প্রোডাকশন বয়ের কাজ করতেন অভিষেক। তখনও তিনি বলিউডে পা রাখেননি। এদিকে বাবা অমিতাভ বচ্চন তখন ‘মৃত্যুদাতা’ ছবিটি তৈরির কাজ করছেন। নিজের প্রোডাকশন হাউসেই কাজ করতেন অভিষেক। একবার শ্যুটিং লোকেশন বাছাইয়ের কাজে ইউনিটের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে স্যুইৎজারল্যান্ডে যেতে হয় তাকে। ওখানেই দেখা হয় ঐশ্বর্যের সঙ্গে অভিষেকের। ববি দেওয়ালের সঙ্গে একটি শ্যুটিং এর কাজে সুইজারল্যান্ড গিয়েছিলেন রাই সুন্দরী। দুজন দুজনকে দেখে ভদ্রতা মূলক কথা আদান প্রদান হয়, এরপর ভালোলাগার মুহূর্ত শুরু হয়। অবশ্য, অভিষেকের তরফ থেকে ভালো লাগা শুরু হয় ঐশ্বর্যের প্রতি। এরপর ধীরে ধীরে সম্পর্ক এগোয়, আর শেষে ২০০৭ এ বিয়ে করেন অভিষেক বচ্চনকে।
বেশ কিছু বছর আগে ঐশ্বর্য রাই তার জীবনে প্রেম প্রসঙ্গে বলেন, “সম্পর্কে আসাটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। সম্পর্কে আসার আগে একটা মানুষকে কিছুটা ভাল ভাবে চিনে নিতে হবে। আমি এমন মানুষ নই যে প্রথম সাক্ষাতেই একজনের প্রেমে পড়ে যাব। এটা আমার দ্বারা হবে না।”