নাম রাজ চক্রবর্তী। এতদিন পরিচালক হিসেবে সকলে চিনতেন, এবার হয়ে উঠছেন ব্যারাকপুরের মসীহ। বিধায়ক হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক ময়দানে উঠে পরে লেগেছেন। জন সেবায় বার বার রাজের নাম উঠে আসছে খবরের কাগজের পাতায়।
যতদিন শুধু পরিচালক ছিলেন ততোদিন তার নাম খবরের কাগজে এইভাবে প্রচার পায়নি। কিন্তু, বিধায়ক হওয়ার পর থেকে রাজ গোটা ব্যারাকপুর রাজ করছেন। দিনদিন পাকা খেলোয়াড় হয়ে উঠছেন তিনি। ব্যারাকপুরের সকলের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছেন তিনি। কিছুদিন আগেই এক ব্যারাকপুরের বাসিন্দা সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজকে কটাক্ষ করে বলেন, “গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়” । সম্প্রতি ইয়াসের তাণ্ডবে যেই ঝড় বৃষ্টি হয়েছে, তাতে করে ব্যারাকপুরের বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। এই জল জমাকে কেন্দ্র করে এক জনৈক নেট নাগরিক সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন মন্তব্য করেন। ব্যাস, এরপরেই রাজ সেই মানুষটির ঠিকানা জোগাড় করে তার বাড়িতে পৌঁছে যান।
কিছুদিন আগেও ব্যারাকপুরের ত্রাণ বিলি করেন রাজ। সকলকে খাবার ও মাস্ক দেন। এবং আশ্বাস দেন তাদের সমস্ত ভালো মন্দ দেখার দ্বায়িত্ব তার নিজের। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম এক মহিলা আর্তি জানায় রাজের উদ্দেশ্যে যে তার কাজ চাই। শ্যামনগরের বাসিন্দা ওই মহিলা রাজের কাছে চাকরি চান। ওই মহিলার নাম রীতা মজুমদার। তিনি রাজকে জানান যে তার স্বামীর ২ মাস ধরে কাজ নেই। যদিও প্রোফাইলে ওই মহিলার নাম রীতা ঘোষ লেখা থাকে।
Hi Rita,
আমি তোমার matter টা তোমাদের বিধায়ক Somnath Shyam দা কে বলেছি, উনি খুব ভালো মানুষ। উনি বলেছেন দেখে নিচ্ছেন। https://t.co/btiPFYiqQh— Raj chakrabarty (@iamrajchoco) June 2, 2021
রাজের কাছে এই মেসেজ আসা মাত্রই রাজ ওই অঞ্চলের বিধায়ককে জানান গোটা বিষয় এবং ওই মহিলার কাজের বন্দোবস্ত করেন। এদিন রাজ ট্যুইট করে জানান রীতার উদ্দেশ্যে, “হাই রীতা, আমি তোমাদের বিষয়টা তোমাদের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামদাকে বলেছি, উনি খুব ভালো মানুষ, উনি বলেছেন দেখে নেবে”। রাজের এমন ধরনের প্রয়াসে পঞ্চমুখ আমজনতা।