BollywoodHoop Plus

Pallavi Rao: বাবার মৃত্যুর কুড়ি দিনের মাথায় চলে গেলেন মা, মর্মাহত অভিনেত্রী পল্লবী রাও

বিনোদন জগত থেকে গত দুই বছর ধরে আসছে একের পর এক দুঃসংবাদ। অভিনেত্রী পল্লবী রাও (Pallavi Rao)-এর বাবা প্রয়াত হয়েছিলেন 4 ঠা অগস্ট। কিন্তু পিতৃবিয়োগের শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই চলে গেলেন পল্লবীর মা-ও।

গত 4 ঠা অগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছিলেন পল্লবীর বাবা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পল্লবী বাবার ছবি শেয়ার করে এই দুঃসংবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আইসিইউ-তে রয়েছেন। তিনিও মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন। পল্লবী লিখেছিলেন, তাঁর মা ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। মা-কে দেখে আসার পর আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হন পল্লবীর বাবা। প্রয়াণ হয় তাঁর। পল্লবী লিখেছিলেন, বাবা তাঁর জীবনের অনুপ্রেরণা। সবসময় সত্যি কথা বলতে শিখিয়েছিলেন তিনি। নির্ভীক ও অল্প কথার মানুষ ছিলেন পল্লবীর বাবা। পল্লবী লিখেছিলেন, তাঁর বাবার আশীর্বাদ সবসময়ই তাঁর উপর রয়েছে। পল্লবীর বাবার প্রয়াণের সংবাদে তাঁকে সমবেদনা জানিয়েছিলেন তাঁর সহকর্মীরা। একই সঙ্গে তাঁরা পল্লবীর মায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছিলেন।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by pallavi rao (@pallavi_s_rao)

কিন্তু গত 24 শে অগস্ট প্রয়াত হলেন পল্লবীর মা। পল্লবী লিখেছেন, লাগাতার 24 দিন মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন তাঁর মা। পল্লবীর মা-বাবা একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারতেন না। তাই পল্লবী মনে করেন, তাঁরা হয়তো মৃত্যুর পরেও একই সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু এভাবে অনাথ হয়ে যাওয়া মানতে পারছেন না পল্লবী।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by pallavi rao (@pallavi_s_rao)

পল্লবী লিখেছেন, একজন সন্তান হিসাবে এই সময়টা তাঁর জন্য যথেষ্ট কঠিন। তাঁর মা-বাবা ছিলেন তাঁর সাপোর্ট সিস্টেম। এক মাসের মধ্যেই তাঁরা দুজন পল্লবীকে একা রেখে চলে গেলেন। পল্লবীর মা সবসময়ই তাঁর পাশে থেকেছেন, সাহস যুগিয়েছেন। পল্লবী বিশ্বাস করেন, তাঁর মা-বাবা তাঁর সাথেই রয়েছেন।

এই মুহূর্তে ‘পান্ডিয়া স্টোর’ নামে একটি ধারাবাহিকে কাজ করছেন পল্লবী। তাঁর সহকর্মীদের প্রার্থনা, পল্লবী এই কঠিন সময় দ্রুত কাটিয়ে উঠে আবারও কাজে ফিরে আসুন। শ্রুতি উলফৎ (Shruti Ulfat), আস্থা আগরওয়াল (Ashtha Agarwal) সহ সমস্ত সহকর্মীরা পল্লবীর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।

Related Articles