অমৃতাকে কেন তালাক দিয়েছিলেন সঈফ! মুখ খুললেন করিনা কাপুরের স্বামী
বলিউডের ইতিহাসে একদিকে যেমন সুখী দম্পতিদের অজস্র উদাহরণ রয়েছে, তেমনই বিচ্ছেদের দৃষ্টান্তও নেহাত কম নয়। একাধিক সম্পর্ক-বিবাহ ও বিচ্ছেদের মুড়ি ও মুড়কি মিলে যেতে দেখা যায় সহজেই। স্টারেদের এইসব প্রেমসম্পর্ক ও বিচ্ছেদ নিয়ে ধরা যায় এক একটি যুগকে সহজেই। সেরকমই নব্বইয়ের দশকের একটি বহুচর্চিত জুটি একসময় বিনোদনপ্রেমী মানুষের গরম চা-কফির পেয়ালায় তুলত তুফান। তাঁরা হলেন সঈফ আলী খান ও অমৃতা সিং।
১৯৯১ সালে মাত্র ২১ বছরের উঠতি অভিনেতা সঈফের সঙ্গে বিয়ে করে ফেলেন ৩৩ বছর বয়সী জনপ্রিয় অভিনেত্রী অমৃতা। বয়সে প্রায় ১২ বছরের বড় অমৃতা সিংকে কীভাবে স্ত্রীয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে নিলেন সেই চিন্তাতে হতবাক হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। অমৃতা সিংএর সঙ্গে সেই সময় অভিনেতা সানি দেওল, বিনোদ খান্না এবং ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রীর নাম জড়িয়ে গেলেও সকলকে সারপ্রাইজড করে অমৃতা সম্পর্ক করেন সঈফের সঙ্গেই। সঈফ-অমৃতা প্রেমকাহিনী সেই সময়কার খবরের কাগজে বিনোদনের হটকেক হয়ে উঠলেও টেকসই হয় নি তাঁদের সম্পর্ক। ২০০৪ এই একে অপরকে তালাক দিয়ে সম্পর্ক চুকিয়ে দেন জীবনের মত।
সম্প্রতি, অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে মুখ খোলেন সঈফ। সঈফ জানান বিচ্ছেদের শেষের দিকে নিয়মিত অশান্তি হত তাঁদের মধ্যে। সঈফকে রীতিমত গালি গালাজ করতেন অমৃতা। অনেক সময় সঈফকে ঘর থেকেও বের করে দিতেন, যার ফলে বিভ্রান্ত হয়ে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে হত সঈফকে। এমন কি অমৃতা দেখা করতে দিতেন না সন্তানদের সঙ্গেও। এরপরই উভয়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
মা-বাবার বিচ্ছেদ সম্পর্কে মত রয়েছে মেয়ে সারারও। সারা আলী খান মনে করেন প্রতিদিনের অশান্তির চেয়ে এই বিচ্ছেদ অনেক ভালো। তিনি বলেন– তালাক নেওয়ার পর মা বাবা দুজনেই খুশি রয়েছেন। যে যার জীবন ব্যক্তিগত ভাবে অতিবাহিত করছেন। আর দুজনকে খুশি দেখে নিজেও খুশি সারা।
অবশ্য, অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে কাটানো দিনগুলি ও অভিজ্ঞতা নিয়ে কখনোই আবেগতাড়িত হতে দেখা যায় নি সঈফকে। বরং, পরে করিনাকে বিয়ে করে পুনরায় সুখী জীবনের মূল স্রোতে ফিরে আসেন এই অভিনেতা। আজ করিনার দ্বিতীয় ও নিজের চতুর্থ সন্তানের পিতা তিনি। এই শুভ মুহূর্তগুলিকে সাক্ষী রেখেই বলিউডের অন্যতম সুখী দম্পতির তকমা পেয়েছেন সঈফ-করিনা জুটি।