দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। এদিন সারিবদ্ধ করে প্রদীপ বা মোমবাতি জ্বালিয়ে গোটা বাড়ি সাজানো হয়। অনেকে আবার এদিন রঙ্গোলি তৈরি করে ঘর সাজায়, অতিথি নিমন্ত্রণ জানায়, মিষ্টি মুখ করে। ঠিক এরকম একটি সুন্দর রাতে সেজে ওঠেন নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। ঘন বেগুনি রঙের লেহেঙ্গা বা শাড়িতে প্রদীপ হাতে দীপাবলি উৎসবে মাতেন তিনি। খোলা চুল, চোখে মুখে আলোর দীপ্তি, সবেতেই তিনি বেশ মোহময়ী।
View this post on Instagram
নুসরত তার নিজের জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপ নিজে নিয়েছেন, সমালোচিত হয়েছেন, লড়াই করেছেন, আবার কঠিন সমালোচনার মধ্যে দিয়েও তিনি অভিনয় জগতে ফিরেছেন। চলতি বছরে নুসরত জাহান ছিলেন সমালোচনার শীর্ষে। হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের চোখে তিনি সমালোচিত। বিয়েকে সহবাস আখ্যা দেওয়া অনেকেই মেনে নিতে পারেননি, এর উপর মুসলিম ধর্মের হয়েও হিন্দুদের সর্বজনীন উৎসবে যোগদান অনেকের কাছে চোখের বালি।
নুসরত জাহানের সিঁদুর পড়া থেকে হিন্দু উৎসবে সামিল সবেতেই কটাক্ষের সুর উঠে আসে তার সম্প্রদায় থেকে। এই যেমন তার দীপাবলির ছবি ঘিরে শুরু হয়েছে মুসলিম হিন্দু ভেদাভেদের শব্দ। যেখানে নুসরত দিদির সৈনিক, এবং যেই দিদি তথা মুখ্যমন্ত্রী সবসময় সকল ধর্মের সন্মান ও মর্যাদা নিয়ে কথা বলেন এবং যেখানে দিদি সমস্ত ধর্মের উৎসব পালন করেন সেখানে দিদির সৈনিক হিসেবে নুসরতের দীপাবলি উৎসব পালন কি অসঙ্গত?
আমরা সকলেই জানি, অমাবস্যায় পালিত হয় দীপাবলি উৎসব। এদিন শ্যামা মায়ের আরাধনায় মাতে গোটা দেশ তথা বিদেশ। বিশ্বাস করা হয় ১৪ বছর বনবাসে কাটিয়ে এই অযোধ্যায় ফিরেছিলেন শ্রী রাম৷ তাই রামচন্দ্রের পথ আলোকিত করতেই অমাবস্যার রাত সেজে ওঠে আলোয় আলোয়। এছাড়াও, জৈন মতে, ৫২৭ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে মহাবীর দীপাবলির দিনেই মোক্ষ বা নির্বাণ লাভ করেছিলেন, তাই তারাও এই বিশেষ দিনে উৎসবে মাতেন। এছাড়া, ১৬১৯ খ্রিস্টাব্দে শিখদের ষষ্ঠ গুরু হরগোবিন্দ ও ৫২ জন রাজপুত্র দীপাবলির দিন মুক্তি পেয়েছিলেন বলে শিখরাও এই উত্সব পালন করেন।