বাঙালির আকাশের অন্যতম আতশবাজি ভিক্টর ব্যানার্জী (Victor Banerjee) গ্রহণ করতে চলেছেন পদ্মভূষণ। তাঁর অন্যন্য শিল্পকলা তাঁকে এই সম্মানের দোরগোড়ায় আসে দাঁড় করিয়েছে। শুধু বাংলা ছবিতে নয় হিন্দি থেকে শুরু করে ইংল্যান্ডের ছবিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। একের পর এক ছবিতে উল্লেখযোগ্য অভিনয় করে আগেই মন জিতেছেন সারা সিনে বিশ্বের। এর দরুন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই বর্ষীয়ান অভিনেতার প্রাপ্য এই পদ্মভূষণ সম্মান।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বলিউডের সাথে জড়িত থাকলেও, ব্যানার্জী প্রাথমিকভাবে বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রেখে গেছেন। সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কে খিলারি’ , ‘ঘরে বাইরে’ এবং মৃণাল সেনের ‘মহাপৃথিবীতে’ অভিনয়ের সাথে সাথে সত্তর দশকে প্রচুর রোম্যান্টিক, একশন ছবিতেও হিরো হয়ে ছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে ডেভিড লিনেন পরিচালিত প্যাসেজ টু আমেরিকায় ‘ডঃ আজিজ’ চরিত্রের জন্য জিতে নিয়েছেন ব্রিটেনের বাফটা সম্মান। বলিউডের অন্যতম ছবি গুন্ডে-তেও দেখা গিয়েছে এই মহারথীকে। মিঃ ব্যানার্জি ভাষায় “সমস্ত কাজ একটি চ্যালেঞ্জ”।
ব্যানার্জী ভারতের একমাত্র ব্যক্তি যিনি তিনটি বিভাগে জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন।
১) একজন চিত্রগ্রাহক হিসেবে। তার ডকুমেন্টারি Where No Journeys End। যা ২৭ টি দেশের ৩১০০ টি এন্ট্রির সাথে প্রতিযোগিতায় হিউস্টন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গোল্ড অ্যাওয়ার্ড জিতেছে।
২)পরিচালক হিসেবে। ডকুমেন্টারির নাম ছিল ‘স্প্লেন্ডার অফ গাড়ওয়াল অ্যান্ড রূপকুন্ড’।
৩)একজন অন্যতম পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে। সত্যজিৎ রায়ের ‘ঘরে বাইরে’ উল্লেখ্য অভিনয়ের জন্য।
সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান হিসাবে দেওয়া হয় এই পুরস্কার। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে ঘোষণা করা হয়েছে পদ্মভূষণ সুযোগ্যাদের নাম। তালিকায় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দুই বাঙালিও। স্ময়ং ভিক্টর ব্যানার্জীর সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও ছিলেন তালিকায়। প্রত্যাখ্যান করেছেন অবশ্য। ঠিক যেমনটা করেছেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ও। এছাড়াও বলিউডের সুরের রাজা সোনু নিগমের সাথে সাথে উত্তরপ্রদেশের রশিদ খান এবং আরও অনেক গুণী প্রতিভা পেতে চলেছেন এই পদ্মভূষণ সম্মান।