Mamata Banerjee: অবসর সময়ে আমিও দেখি বাংলা সিরিয়াল: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বরাবর টলিউডের শিল্পীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তাঁর উদ্যোগেই টলিউডের শিল্পী ও কলাকূশলীদের মেডিক্লেম চালু হয়েছে। তবে দুঁদে রাজনীতিবিদ মমতা যে রাজনীতির ফাঁকেও বাংলা সিরিয়ালে চোখ রাখতে ভোলেন না, এবার তিনি তা নিজেই জানিয়ে দিলেন।
বৃহস্পতিবার, নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল চলতি বছরের ‘পশ্চিমবঙ্গ টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস’। টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি ও টলিউডের বড় পর্দার তারকারা ছাড়াও অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারুইপুরের টংতলায় নব নির্মিত পশ্চিমবঙ্গ টেলি অ্যাকাডেমির চারটি স্টুডিও ফ্লোর ও প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। অপরদিকে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কড়া কোভিড বিধি মেনে আয়োজিত হয়েছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস’।
এদিন মমতা বলেন, লকডাউনে মানুষ যখন ঘরের মধ্যে আবদ্ধ ছিলেন, তখন তাঁদের সাথী ছিল টিভি। টেলিভিশন চ্যানেলের সিরিয়াল নির্মাতাদের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, অনেকেই আছেন যাঁরা বাড়িতে একা থাকেন তাঁরা অথবা বৃহৎ পরিবারের গৃহিণীরাও তাড়াতাড়ি রান্না সেরে নেন যাতে তাঁরা সঠিক সময়ে সিরিয়াল দেখতে পারেন। মমতা নিজেও সারাদিন তাঁর সমস্ত কাজ সেরে রাতের দিকে টিভির পর্দায় বাংলা সিরিয়ালে চোখ রাখেন।
মুখ্যমন্ত্রী বাংলার শিল্পীদের জন্য গৌরব অনুভব করেন। তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ টেলি অ্যাকাডেমির নব নির্মিত ভবন গড়ে উঠেছে বারুইপুরের দশ একর জমির উপর। এটি নির্মাণ করতে মোট খরচ হয়েছে 132.50 লক্ষ টাকা। তাঁর মতে, অনেকে টিআরপি রেটিং দেখে সিরিয়ালের বিচার করেন। কিন্তু মানুষের চাহিদাই হল সবচেয়ে বড় টিআরপি। টিভি কোনোদিন বন্ধ থাকলে মানুষ রেগে ওঠেন।
মমতা মনে করেন, বর্তমান প্রজন্ম যথেষ্ট প্রতিভাশালী। তাঁদের কাজ দেখে অনেক কিছু শেখা যায়। বিনোদন জগতের উপর অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভরশীল। 2012 সালে গঠিত হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ টেলি অ্যাকাডেমি। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে প্রতি বছর বিনোদন জগতের শিল্পী ও কলাকূশলীদের সম্মান জানাতে আয়োজিত হয় পশ্চিমবঙ্গ টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস।