তিয়াসা লেপচা এবং সুবান রায়ের জুটি টেলিপাড়ায় খুবই চর্চিত। অভিনয়ে আসার আগে থেকেই তিয়াশা বিবাহিত ছিলেন। তাঁদের জুটি খুবই মজবুত বলেই সবাই জানতেন। আর এই মজবুত জুটিতেই বিচ্ছেদের ভাঙন ধরল।
তিয়াসা মনে করেন যে দুজনের মধ্যে ভাবনা-চিন্তায় যে মিল থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তাঁদের মধ্যে প্রায়ই মতের মিল ঘটত না। এই মতভেদকে কেন্দ্র করেই দুজনের মধ্যে ধীরে ধীরে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এভাবে দিনকে দিন সমস্যা বেড়ে যাচ্ছিল। একটি সংবাদসংস্থাকে তিয়াসা তাঁর প্রতিক্রিয়াতে জানান যে তাঁদের আইনি পথে বিচ্ছেদ মানে মিউচুয়াল ডিভোর্স সম্পন্ন হয়েছে। দুজনে স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা করলে যেহেতু ন মাস আলাদা থাকতে হয় তাই তাঁরা প্রকাশ্যে এই খবর আনেননি। তাদের মধ্যে যে ভাঙনরেখা ধরতে শুরু করেছে তা টলিপাড়ায় ক্রমশ গুঞ্জনের মধ্যে দিয়ে উঠে আসছিল। এমন ঘটনা রটেছিল নাকি তিয়াসার স্বামী সুবান তিয়াসার এই সাফল্যকে মেনে নিতে পারেননি। পেশাগত হিংসা থেকেই তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে।
বেশ কিছুদিন ধরেই এই গুঞ্জন উঠেছিল যে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। এতগুলো মাস পর অবশেষে তিয়াসা তা প্রকাশ্যে আনলেন। তিনি কৃষ্ণকলি পর এখন দীর্ঘ বিরতিতে ব্যস্ত। পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটাতে দেখা যাচ্ছে।
কিন্তু তিয়াসা সংবাদমাধ্যমে প্রাক্তন স্বামী সুবান সম্পর্কে কোনো বিরূপ কথা বলেননি। তিনি জানান যে তারা একে অপরের সম্পর্কে কোনো কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করতে চান না। তারা একসঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না তাই বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছিলেন। কিন্তু তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব এখনও অটুট আছে।
তাদের তিন বছরের দাম্পত্য ভেঙে গেল। আর এতেই টলিপাড়ার অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে যে কোন সম্পর্কই কি তবে এখন টলিপাড়ার অন্দরে চিরস্থায়ী থাকে না? দুজন অভিনেতা-অভিনেত্রী যদি দম্পতি হন তো তাঁদের প্রতি পেশাগত হিংসা কি খুবই স্বাভাবিক? প্রশ্ন থাকলেও উত্তর নেই।
