Neel-Trina: পর পর বড়পর্দায় কাজ তৃণার, সাফল্যে খুশি নাকি পেশাগত হিংসা কি প্রতিক্রিয়া নীলের!
গতবছর ফেব্রুয়ারীতে মহা ধুমধামের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এই দুই তারকা জুটি। বিয়ের আগে প্রেম ছিল বহু বছরের। প্রেমের থেকেও বেশি ছিল বন্ধুত্ব। যে কোন কঠিন পরিস্থিতিতে একে অপরকে বন্ধুত্বের মায়াডোরে আগলে রেখেছিলেন নীল-তৃণা।
কাজের সূত্রে এখন তৃণা পাড়ি দিয়েছেন মুম্বইয়ে। ছোটপর্দা থেকে বড় পর্দা সর্বত্রই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তৃণা। গত বছর এই সময় টানা বেঙ্গল টপার ছিল খড়কুটো। তবে বর্তমানে টিআরপিতে মন্দা এলেও গুনগুনের জনপ্রিয়তায় একটুকরো মলিনতা পড়েনি। সামনেই গুনগুনের পরপর দুটি ছবিতে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ। অরিন্দম শীল থেকে শুরু করে সৃজিত মুখোপাধ্যায় দুই তাবড় টলিউডের প্রথম সারির পরিচালকের হাত ধরে নায়িকা হিসেবে তাকে বড় পর্দায় দেখা যাবে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ সিনেমা তিনি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে অভিনয় করবেন। তৃণার এই জয়রথে কি প্রতিক্রিয়া স্বামী নীলের? স্ত্রীর জন্য স্বামী হিসাবে কতটা গর্ব অনুভব করছেন তিনি? নাকি পেশাগত দ্বন্দ্ব অথবা হিংসা ধীরে ধীরে বাসা বাঁধছে তাদের সংসারে?
না, টলিউডের এই মোস্ট হ্যাপেনিং কাপেলের সংসারে কোনো পেশাগত দ্বন্দ্ব বিন্দুমাত্র নেই। এমনটাই দাবি অভিনেতার নীলের। স্ত্রী তৃণার এই সাফল্যে তিনি গর্বিত, উচ্ছ্বসিত। ভট্টাচার্য এবং সাহা দুই পরিবারেই এখন উৎসবের আমেজ। তৃণার এই উন্নতিতে নীল সপ্তম আকাশে বিরাজ করছেন। কিন্তু তাদেরকে কখনও একসঙ্গে উদযাপন করতে দেখা যায়নি এই সাফল্যের। এই প্রসঙ্গে অভিনেতার বক্তব্য যে তার নিজের উমার শুটিং এবং তৃণার খড়কুটো ও অন্যান্য সিনেমার শুটিং করে উদযাপনের অবসরটুকু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছবির প্রমোশনের সূত্রে তৃণা এখন মুম্বইয়ে। ভবিষ্যতে আরও গ্র্যান্ড ভাবে ব্যাপারটা সেলিব্রেট করার জন্য তারা উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছেন।
পরপর দুটি ছবিতেই নায়িকার চরিত্র। সাথে প্রতিদিন সিরিয়ালের শুটিং। এই ছুটে চলা ব্যর্থতার মাঝে তাদের দাম্পত্য জীবনের পরিণতি কী হবে? এই প্রসঙ্গে অভিমুন্য অর্থাৎ নীল জানান যে ছোটপর্দায় যে শিডিউলে কাজ হয় বড় পর্দার শিডিউল তার থেকে অনেকটাই আলাদা। তাই তৃণার বিশ্রামের ফুসরত অনেকটাই মিলবে বলে জানিয়েছেন তার স্বামী নীল।
তৃণা যে একাধারে ছোট পর্দা এবং বড় পর্দায় ফ্লেক্সিবেল হয়ে সমানতালে কাজ করতে পারবেন তা স্পষ্ট জানান অভিনেতা নীল। স্ত্রী এখন সফলতার চরমে, কখনো কি কোনদিনও পেশাগত হিংসা তাদের দাম্পত্যে ছায়া ফেলতে পারবে? অভিনেতা নীল দ্বিধাহীন ভাষায় জানিয়ে দেন তাদের মতে হিংসা,রেষারেষির কোন প্রশ্নই ওঠে না। তারা পরস্পরের প্রতি অনেকটাই নির্ভরশীল। স্বামী স্ত্রীর থেকেও বেশি তারা বেস্ট ফ্রেন্ড। আগেও কোনদিনও তাদের মধ্যে পেশাগত দ্বন্দ্ব বা প্রতিযোগিতা ছিল না কোনদিনও আসবেও না তা। একে অপরের পাশে ঢাল হয়ে সমস্ত সুখ দুঃখে তৃনীল থাকবে এমনটাই জানান অভিনেতা।