করোনার করাল গ্রাসে সবথেকে বেশি পড়েছিল প্রভাব পড়েছিল বাংলা সিনেমার ওপর। অতিমারীর পর দর্শকদের হলমুখী করে তোলা যেন একটি আলাদাই চ্যালেঞ্জ। একের পর এক বাংলা ছবির মুক্তি গত দু’বছর ধরে খালি পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে আগের থেকে পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্বাভাবিক গোটা কয়েক বাংলা ছবি বেশ ভালো বক্স-অফিসে সাফল্য লাভ করেছে। আর সেই সাফল্যের হাত ধরে বক্সঅফিসে পর পর মুক্তি পাচ্ছে একের পর এক ছবি।
আগের থেকে অনেকটাই বেশি হলমুখী হচ্ছেন দর্শকেরা। এপ্রিল মাসেই ঈদের আগে একসঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে বাংলার দুই সুপারস্টারের ছবি। দীর্ঘদিন পর আবার বক্সঅফিসে দেব এবং জিতের লড়াই দেখবে সকলে। এর আগে পুজোয় দেবের গোলন্দাজ মুক্তি পেয়েছিল এবং জিতের বাজি। কার্যত বাজি সিনেমাটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে অপরদিকে গোলন্দাজ লকডাউনের পর সর্বোচ্চ আয় করা বাংলা ছবি।
দেব এবং জিতের ফ্যানের মধ্যে রেষারেষির অন্ত নেই। দুটি ছবি বড় পর্দায় একসঙ্গে মুক্তি পাবে ২৯ এপ্রিল। নবাগত পরিচালক রাহুল মুখার্জির পরিচালনায় জুটি বেঁধেছেন দেব রুক্মিণী। এই ছবিতে একই সঙ্গে সমান্তরালভাবে তিনটি সময়ের গল্প বলা হবে। রুক্মিণীরও রয়েছে বিভিন্ন বয়সের লুক। ছবির ট্রেলার থেকে গান, দুটোয় দারুণ জনপ্রিয় ইতিমধ্যে। ইতিমধ্যেই অরিজিৎ সিং-এর গাওয়া অবশেষে ভালোবেসে চলে যাব গানটি মনে ধরেছে দর্শকদের ।
দেবের নিজের প্রোডাকশন হাউজের অধীনে আসছে এই সিনেমা। প্রায় ৩ সপ্তাহ আগে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবির ট্রেলারের, ইউটিউবে (১২ এপ্রিল বিকেল অবধি) ৭,০০,০০০ ভিউ হয়েছে। জিৎ ও নবাগতা লহমা ভট্টাচার্য জুটি বেঁধেছেন, এমএন রাজ পরিচালিত ‘রাবণ’ ছবিতে। এই ছবিটিও একটি ডেবিউ পরিচালকের পরিচালনা। নিজের নায়ক ইমেজকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে একেবারে অন্য অবতারে ধরা দিয়েছেন জিৎ যা দেখে হতবাক সকলে।
জিৎ, গোপাল মদনানি এবং অমিত জুমরানির প্রযোজনায় আসছে ‘রাবণ’। এই অ্যাকশনধর্মী ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে দিন দুয়েক আগে। ইউটিউবে ইতিমধ্যে (১২ এপ্রিল বিকেল অবধি) ১১,০০,০০০ ভিউ হয়েছে এই ছবির ট্রেলারের।
একইসঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে দুটি বহুল প্রতীক্ষিত বাংলা ছবি। এতে কি বক্স অফিসে কোনো প্রভাব পড়বে? দেব জানান যে প্রতিযোগিতা থেকে গত তিন -চার বছর ধরে তিনি নিজেকে আলাদা করে নিয়েছেন। তিনি যে ধরণের কাজ করছি, অন্য কারও সঙ্গে কোনও মিল নেই। তার চেষ্টা থাকে বাংলায় যেই গল্পগুলো আগে বলা হয়নি, কেউ সাহস করেনি, সেই গল্পগুলি মানুষের সামনে তুলা ধরা। অপরদিকে জিতের বক্তব্য অবশ্যই প্রভাব পড়বে একসঙ্গে এতগুলো ছবি মুক্তির। তবে সেটা বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি এবং বিকাশ ঘটাবে বলে তিনি মনে করেন।