গতকাল ২রা অক্টোবর গান্ধীজয়ন্তীর দিন ছিল দিদি নং 1 অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জিরও জন্মদিন। জন্মদিনের সন্ধ্যায় কাছের বন্ধুদের নিয়ে অভিনেত্রী নিজের আর্বানার ফ্ল্যাটে এক জবরদস্ত বার্থডে পার্টির আয়োজন করে ফেললেন।পার্টির থিম ছিল চামেলি। রচনা নিজেও ক্যামেরায় ধরা দিলেন চামেলির অভিনব সাজে।তাঁর পরনে ছিল মেরুন রঙের উজ্জ্বল শাড়ির সাথে কনট্রাস্ট সবুজ ব্লাউজ।কিন্তু সবচেয়ে বেশি নজরকাড়া ছিল তাঁর হেয়ারস্টাইল।
রচনা হলুদ ও কমলা গাঁদাফুল ব্যবহার করেছিলেন নিজের হেয়ারস্টাইলে।অনন্যা রচনা আরো একবার প্রমাণ করে দিলেন তিনি এভারগ্রিন। চামেলির সাজে সেজে পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন রচনার কাছের বন্ধু অভিনেত্রী কনীনিকা,রিচা শর্মা,শ্রেয়া পান্ডে এবং আরো কিছু ঘনিষ্ঠ পরিজন।এই বছর ৪৬-এ পা দিলেন রচনা।
রচনা ব্যানার্জি অভিনেত্রী হিসাবে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। কয়েকটি বাংলা ফিল্ম হিট করার পর তিনি পাড়ি জমান মুম্বইতে।মুম্বইতে একটি হিন্দি ফিল্মে কাজ করার সময় তাঁর আলাপ হয় এক ভোজপুরি অভিনেতার সঙ্গে। তাঁর হাত ধরেই রচনার প্রবেশ ঘটে ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। কয়েকটি ভোজপুরি ফিল্ম করার পর রচনার বিয়ে হয়ে যায় তাঁর দীর্ঘ দিনের বয়ফ্রেন্ডের সাথে। তিনি নিজেও ছিলেন একজন অভিনেতা। নিজের ফিল্মি কেরিয়ার ছেড়ে রচনা মনোনিবেশ করেন সংসারে।
পুত্রসন্তানের জন্মের পর কোলকাতায় ফিরে আসেন রচনা। শোনা যায়,সেই সময় থেকেই রচনার দাম্পত্য সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে। একাই ছেলেকে বড় করে তোলেন রচনা।এই সময় জি বাংলা চ্যানেলের শো ‘দিদি নং ১’ রচনাকে বিশেষ পরিচিতি এনে দেয়। শো হিট হয়। এছাড়াও পরিচালক শিবপ্রসাদের কিছু ফিল্মে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন ইন্ডাস্ট্রিতে কামব্যাক করেন তিনি।সম্প্রতি রচনার ডিভোর্স হয়ে যায়। নিজের ছেলের মধ্যে এবং নিজের কাজের মধ্যে রচনা তৈরী করে নিয়েছেন নিজস্ব জগৎ। প্রমাণ করে দিয়েছেন,তিনি সত্যিই ‘দিদি নং ১’।