বিনোদন জগত ও ক্রীড়া জগতের চকমকি জীবনে প্রবেশ করে সফল হওয়ার পরেও একাধিক তারকা রয়েছেন যাঁদের জীবন আবারও ডুবে গেছে দারিদ্র্যের অন্ধকারে। এর আগে প্রায়ই দেখা যেত, অলিম্পিকের পদক জয়ী ক্রীড়াবিদরা অন্য পেশা অবলম্বন করেছেন। বলিউড তারকা এ.কে.হঙ্গল (A.K.Hangal) শেষ জীবনে ভর্তি হয়েছিলেন সরকারী হাসপাতালে। সেই হাসপাতালের বিল মেটানোর মতো টাকাও ছিল না তাঁর কাছে। এবার সামনে এল ঐশ্বর্য (Aishwarya)-র কাহিনী।
দক্ষিণী নায়িকা ঐশ্বর্য 1989 সালে তেলেগু ফিল্ম ‘আদিভিলো অভিমন্যুডু’-র মাধ্যমে অভিনয়ে ডেবিউ করেছিলেন। এই ফিল্মে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন জগপতি বাবু (Jagapati Babu)। এরপর দক্ষিণের বিভিন্ন ভাষায় দু’শোটিরও বেশি ফিল্মে অভিনয় করেছেন ঐশ্বর্য। অধিকাংশ ফিল্ম ছিল সুপারহিট। তেলেগু ছাড়াও তামিল, মালয়ালম, কন্নড় ফিল্মেও ছিল ঐশ্বর্যর জনপ্রিয়তা। একটি সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য জানিয়েছেন, অত্যন্ত সফল থাকাকালীন তিনি বিয়ে করেন। অত্যন্ত জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে দেন ঐশ্বর্য।
View this post on Instagram
1994 সালে তনভীর আহমেদ (Tanveer Ahmed)-এর সাথে ঐশ্বর্যর বিয়ে হয়। তাঁদের একটি কন্যাসন্তান হয়। কিন্তু 1996 সালে ঐশ্বর্যর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে অত্যন্ত কষ্ট করে কন্যাকে বড় করে তোলেন ঐশ্বর্য। একসময় তার বিয়েও দেন। কিন্তু কন্যার বিয়ের পর তাঁর সংসার চালানো কঠিন হয়ে উঠেছিল। কিন্তু একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা ঐশ্বর্য কোথাও কাজ না পেয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে বর্তমানে তাঁর একটি সাবানের ব্যবসা রয়েছে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সাবান বিক্রি করেন তিনি।
View this post on Instagram