Lifestyle: বাচ্চাকে দুধে চিনি মিশিয়ে খাওয়াচ্ছেন, কতটা ক্ষতি হচ্ছে জানেন!
সাদা তরল দুধে কি কি থাকে জানেন? যেই দুধ আপনি নিজে পান করছেন বা আপনার ছোট্ট সোনামণিকে রোজ দিচ্ছেন সেটি যথাযথ উপায় দিচ্ছেন তো? চলুন আজ জানবো বাচ্চাদের কিভাবে দুধ দেওয়া উচিত।
প্যাকেট জাত দুধে অনেক উপাদান থাকে বটে কিন্তু গরুর দুধে থাকে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ পদার্থ যেমন ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, কোবাল্ট, কপার, জিংক, আয়োডিন ও সেলিনিয়াম। এই উপাদান প্যাকেটের দুধেও কম বেশি থাকে। নিয়মিত দুধ সেবনে হাড় মজবুত হয়, ঘুম ভালো হয়, শক্তি বাড়ে, দৈনন্দিন কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি। এককথায় দুধের পুষ্টিগুণ অপরিসীম। কিন্তু, এই দুধ কিভাবে পান করা উচিত? অর্থাৎ কিভাবে পান করলে এর সমস্ত ফলাফল পাওয়া যাবে?
দুধ দুই ভাবে পান করা যেতে পারে। একটি হল এক্কেবারে গরম করে ফুটিয়ে উষ্ণ অবস্থায় পান। দ্বিতীয় হল – দুধ ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজ করা, এবং ফ্রিজ থেকে বের করে বাইরে কিছুক্ষন রেখে তারপর পান করা। যাদের গ্যাস অম্বলের সমস্যা আছে তারা ঠান্ডা দুধ পান করতে পারেন।
এবারে আশি দুধে কি কি মেশানো যেতে পারে। বাচ্চারা যেহেতু মিষ্টি পছন্দ করে, তাই মায়েরা দুধে চিনি সংযোগ করেন। এটি একেবারেই ঠিক নয়। আপনি চিনির পরিবর্তে দুধে সামান্য গুড় যোগ করতে পারেন বা বাতাস এক টুকরো নয়তো বাচ্চাদের মিষ্টি ছাড়া দুধ দেওয়া উচিত। কারণ, দুধে চিনি যোগ মানেই কার্বোহাইড্রেট যুক্ত পানীয় হয়ে গেলো। বাচ্চাদের দুধে কোনো ফল সংযোগ করতে পারেন তাতে করে দুধ ও ফল দুই খাওয়া হয়। কিংবা দুধে বাদাম পেস্ট বা হলুদ। কোনোভাবেই দুধে চকলেট পাউডার, চিনি সংযোগ করবেন না।