Hoop Fitness

Lifestyle: নিয়মিত টম্যাটো সস খাওয়ার ফলে শরীরের কত বড় ক্ষতি হচ্ছে জানেন!

টম্যাটো চাটনি, টম্যাটো সস খুব খাচ্ছেন বুঝি। সিঙ্গারা, চপ, চাউমিন, এগ রোল এসবের সঙ্গে চাটনি না হলে কি আর জমে? আজকাল আবার সসের সঙ্গে মেহোনিজ মিশিয়ে জম্পেশ করে ফাস্ট ফুড খান অনেকে। কিন্তু, প্রশ্ন হল এই টম্যাটো সস কি উপকারী? নাকি শুধুই স্বাদের জন্য খাওয়া? চলুন এই নিয়ে সংক্ষিপ্ত অথচ খানিক বিস্তারিত আলোচনা করি।

প্রথমত, টম্যাটো/ টমেটো হচ্ছে একমাত্র সবজি, যার মধ্যে রয়েছে চার রকমের ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন ‘এ’। এই ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন ‘এ’ ত্বক ও চোখের সুস্থতা এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কিন্তু, টম্যাটো সস একেবারেই নিরাপদ নয়। এই সস যতটা কম খাওয়া যায় ততই ভালো। টম্যাটো সস পরিমাণে কম নিয়ে বরং পুদিনার চাটনি, লেবু, ধনে পাতার চাটনি, মেহোনিজ এসব খাওয়া যেতেই পারে। এখন প্রশ্ন হল যে কেন পরিমাণে খুবই কম খাবো টম্যাটো/ টমেটো সস?

১) বাজারজাত টমেটো সসে মেশানো থাকে ফ্রুক্টোজযুক্ত কর্ন সিরাপ, এটি শরীরের জন্য নিরাপদ নয়। এটি শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, আর তাতে করে ঝুঁকি বাড়ে হৃদ্‌রোগের।

২) যাদের বদহজম, বুকজ্বালার মতো সমস্যা রয়েছে তাদের প্রথমত ভাজাভুজি খাওয়া উচিত নয়, পাশাপাশি টমেটো সস একেবারেই নয়। কারণ, এই
সসে থাকে ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড।

৩) গেঁটে বাত থাকলে একদমই পাতে নেবেন না টমেটো সস, বরং কাসুন্দি খান বা পুদিনা চাটনি। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে কিংবা বাতের বেদনা থাকলে টমেটো সস বাড়িয়ে দিতে পারে।

৪) পেটের সমস্যা বা ডায়রিয়া থাকলে টমেটো নয়, কারণ, টমেটোতে থাকে সালমোনেলা নামের একধরনের ব্যাকটেরিয়া। এটি ডায়রিয়ার সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।

Related Articles