কিছুদিন আগেই শিরদাঁড়ার সমস্যার কারণে চেন্নাইয়ে গিয়েছিলেন কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Konineeca Banerjee)। সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অস্ত্রোপচার হয় কণীনিকার। অস্ত্রোপচার সফল হওয়ার পর পরিবারের সাথে বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অস্ত্রোপচারের সফলতা ও পাশে থাকার জন্য তাঁর চিকিৎসকদের ও অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানান কণীনিকা। তিনি আশাবাদী ছিলেন, আগামী পনের দিনের মধ্যেই ফিরতে পারবেন ‘আয় তবে সহচরী’-র সেটে। কিন্তু তার আগেই ঘনিয়ে এল দুঃসংবাদ। কন্ঠস্বর হারালেন কণীনিকা।
বুধবার লাইভে এসে কণীনিকা নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর স্পাইন সার্জারি হয়েছে। সি সিক্স, সি সেভেনে স্পাইন প্রোল্যাপস করে গিয়েছিল। ফলে একটি বড় সার্জারি করতে হয়। ডঃ সিদ্ধার্থ ঘোষ (Siddhartha Ghosh) কণীনিকার সার্জারি করেছেন। তবে আট বছর আগে আরও একবার তাঁর স্পাইন সার্জারি হয়েছিল। কিন্তু এবারের সার্জারিতে তাঁর ভয়েসের ক্ষতি হয়েছে। পুরোপুরি ভয়েস ফেরত আসেনি। বর্তমানে অল্প কথা বলতে পারছেন কণীনিকা ও হাসতে পারছেন। কিন্তু কিছুদিন আগে অবধি তাঁর গলার অবস্থা ভালো ছিল না। কথা বলতে পারছিলেন না তিনি। কথা বলতে গেলে শুধু হাওয়া বেরোচ্ছিল।
তবে এখন অল্প কথা বলতে পারলেও পাঁচ মিনিটের বেশি কথা বলা বারণ। অভিনয় করার পাশাপাশি শেখান কণীনিকা। ভয়েস মডিউলেশন অভিনয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফলে কণীনিকা তো বটেই, তাঁর মা, স্বামী ও মেয়ে কিয়া (Kia) এক অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে প্রভাব পড়েছে টিম ‘আয় তবে সহচরী’-তেও। কণীনিকা তাঁর কন্ঠস্বরের সমস্যার কথা চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে জানালে তাঁরা সিরিয়ালটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন।
কণীনিকা হাঁটতে-চলতে পারছেন। কিন্তু কন্ঠস্বর ফিরে না পাওয়ার সমস্যাকে দুর্ভাগ্য বলতে রাজি নন তিনি। তিনি লড়াকু। জীবনের বহু চড়াই-উতরাই দেখেছেন। বর্তমানে তাঁর ভয়েজ থেরাপি ও ফিজিওথেরাপি চলছে। চিকিৎসকরা বেশি কাজ করতে তাঁকে বারণ করেছেন। শারীরিক দূর্বলতাও যথেষ্ট রয়েছে। কিন্তু একসময় কণীনিকার ফিরবেন ক্যামেরার সামনে। কারণ অভিনয় তাঁর প্রথম ভালোবাসা।