অনুষ্ঠান বাড়ির মতো চিংড়ি মাছের মালাইকারি বানানোর রেসিপি
কথাতেই আছে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। তবে চিংড়ি মাছকে মাছ বলা হয় না। সে নাকি জলের পোকা। কিন্তু সে জলের পোকাকেই বাঙালিরা নিজের খাদ্যতালিকায় সাদরে গ্রহণ করেছে।
চিংড়ি মাছের একটি সুস্বাদু পদ হলো ‘চিংড়ি মাছের মালাইকারি’। ‘মালাইকারি’ শব্দটির একটি ইতিহাস আছে মালাইকারি কথাটির ‘মালাই’ শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ ‘বালাহ’ থেকে। যার অর্থ দুধ বা ক্ষীর জাতীয় খাদ্য। আসলে চিংড়ির মালাইকারি বানাতে নারকেলের দুধ থাকতেই হবে। তাই জন্যই বোধহয় এহেন নামকরণ। তবে এই ‘মালাইকারি’ নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। অনেকেই মনে করেন দক্ষিণ ভারতের মানুষ যখন মালয় এ গিয়েছিলেন কাজের জন্য তখন তারা সেখান থেকে এই রান্নাটি শিখে আসেন। সেজন্যই রান্নাটির নাম হচ্ছে ‘মালয়কারি’। সে যে দেশ থেকেই এই পদ আসুক না কেন মালাইকারি বাঙালির ভুড়িভোজ এ যে নিজের জায়গা করে নিয়েছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
উপকরণ: মাঝারি আকারের চিংড়ি মাছ, পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, কাঁচা লঙ্কা, নুন, নারকেলের দুধ, নারকেল কোরানো, তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি, নুন চিনি স্বাদমতো, তেল।
প্রণালী:মাছগুলোকে দোকান থেকে নিয়ে আসার ফলে গরম জলে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। চাইলে মাথা গুলিকে ভেঙেও নিতে পারেন। তবে অনেকেই চিংড়ির মাথা খেতে ভালোবাসেন তারা রেখে দিতে পারে। কড়াইতে তেল গরম করুন। এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা সমস্ত গুঁড়ো মশলা দিয়ে ভালো করে করতে থাকুন। কষা কষা হয়ে গেলে নারকেলের দুধ দিয়ে নুন, মিষ্টি দিয়ে ফুটতে দিন। প্রয়োজনে সামান্য গরম জল দিন। ভেজে রাখা মাছ গুলি কড়ার মধ্যে দিয়ে দিন। কুরিয়ে রাখা নারকেল দিয়ে দিন। নামানোর আগে গোটা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে গরম গরম ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন ‘চিংড়ি মাছের মালাইকারি’।