অনুষ্ঠান বাড়ির মতো শুক্তো বানানোর সহজ রেসিপি
পাঁচমিশালি সবজি দিয়ে তৈরি অনবদ্য একটি পদ। তবে এই পদটি অনেক পুরনো পদ।
বাঙালির খাদ্য তালিকায় শুরুতেই যে খাদ্যের নাম না বললেই চলে সেটি হলো শুক্তো। পাঁচমিশালি সবজি দিয়ে তৈরি অনবদ্য একটি পদ। তবে এই পদটি অনেক পুরনো পদ। ইতিহাস ঘাটলে এর দেখা মিলবে। ইতিহাস বলছে, পদ্মপুরাণে রয়েছে বেহুলার বিয়ের খাদ্যতালিকায় শুক্তোর নাম ছিল। অন্নদামঙ্গলেও ২২ রকমের নিরামিষ পদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিল এই বাঙালি খাবার শুক্তো। আগেকার দিনে শুক্তো রান্না হত বেগুন, কাঁচা কুমড়ো, কাঁচকলা, মোচা ইত্যাদি সবজিগুলো বাটা মশলা অথবা মধ্যে বেশ ভাল করে মেখে নিয়ে মিশিয়ে রান্না করা হতো। পরে হিং, মেথি দিয়ে নামিয়ে নেওয়া হতো। শুক্তো কথাটি এসেছে ‘সুকুতা’ থেকে। চৈতন্যচরিতামৃতে ‘সুকুতা’ বলতে এক ধরনের শুকনো পাতা কে বলা হয়েছে। আগেকার দিনে সাধারণত পাতার ব্যঞ্জন কে ‘শুক্তো’ বলা হত। শুক্তো দিয়ে শুরু হয় বাঙালির ভুরিভোজ, জেনে নিন শুক্তোর রেসিপি
উপকরণঃ উচ্ছে বা করলা, কাঁচকলা, বেগুন, পেঁপে, বরবটি, মুলো আদা একটুকরো, মৌরি, সরষে, পোস্ত, কাজুবাদাম সমপরিমাণ। পাঁচফোড়ন ১ টেবিল চামচ নুন পরিমাণমতো, চিনি সামান্য বড়ি কয়েকটা, রাধুনী এক চা-চামচ, তেল পরিমাণমতো, দুধ ১থেকে ২কাপ।
প্রণালীঃ সমস্ত সবজি আগে লম্বা আকারে কেটে নিতে হবে। আদা, মৌরি, সরষে, পোস্ত কাজুবাদাম একসঙ্গে ভালো করে মিহি করে বেটে ফেলতে হবে। কড়াইতে তারপরে তেল দিতে হবে তেল গরম করে প্রথমে বড়ি, করলা ভেজে তুলে রাখতে হবে। তারপর সেই তেলের মধ্যে রাঁধুনি ফোড়ন দিয়ে আলুর টুকরো ভাজতে হবে। আলু বেশ লাল লাল করে ভাজা হয়ে গেলে, অন্যান্য সবজি দিয়ে ভেজে নিতে হবে। একটু নাড়াচাড়া করার পরে নুন, চিনি দিতে হবে। তারপরে ভাজা সবজি গুলোর উপরে জল দিতে হবে। তারপরে উচ্ছে দিয়ে দিতে হবে। ঢাকা দিয়ে ভালো করে সেদ্ধ করতে হবে। সবজি সেদ্ধ মধ্যে ভাজা বড়ি গুলি দিয়ে দিতে হবে। নামানোর কিছুক্ষণ আগে দুধ দিতে হবে। শেষে পাঁচফোড়ন গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। এরপরই পরিবেশনের জন্য তৈরি গরমাগরম শুক্তো।